
আশরাফুর রহমান হাকিম, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাদারীপুরের কালকিনিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই গ্রুপে সংর্ঘষে পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। এসময় জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে। সোমবার ( ৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মেজর রেজাউল করিম (অব.) তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একটি মিছিল দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করতে আসেন। মিছিলটি পরিষদ চত্বরে আসলে তাদের মিছিলে বাঁধা প্রদান করেন একদল দূর্বৃত্ত। এ সময় কথার কাটা-কাটির এক পর্যায় উভয় পক্ষের মাঝে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকমা, কালকিনি থানার ওসি কে এম সোহেল রানাসহ উভয় পক্ষের ১৫জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে।
মেজর রেজাউল করিম (অব.) বলেন, আমি প্রশাসনের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করতে আসলে আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় খোকন তালুকদারের লোকজন। এতে আমার প্রায় ১০-১২জন কর্মী সমর্থক আহত হয়। আমি হামলাকারীদের নামে মামলা করেবো।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক বেপারী বলেন, মেজর (অব:) রেজা কালকিনির বিভিন্ন স্থানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি দিয়ে নিজের ব্যানার টানান। মেজর ( অব:) রেজাউল করিম রেজা উপজেলা পরিষদ চত্বরে শ্লোগান নিয়ে আসলে ব্যানার টানানো কে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনতা একত্রিত হয়ে উপজেলার পরিষদ চত্বরে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফ উল আরেফীন বলেন, মারা-মারির ঘটনা দেখতে পেরে আমি প্রশাসনের লোকজন নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি।
এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকমা বলেন, কালকিনিতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় আমি ও কালকিনি থানার ওসি আহত হয়েছি। এবং এ সময় বেশ কিছু লোকজন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এ ঘটনায় মামলা দিলে মামলা নেয়া হবে।