
শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি- মানিক হোসেন.
বিয়ে ছাড়াই প্রেমিক নাইমের সাথে স্বামী-স্ত্রী রূপে বসবাস করতেন নার্সিং পাশ করা শামছুন্নাহার বন্যা। বিয়ের জন্য চাপ দিলেও এড়িয়ে যেতেন নাইম। শেষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বন্যা। আর নাইম রয়েছেন পুলিশ হেফাজতে। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে।
বন্যা বেনাপোল পোর্ট থানাস্থ রঘুনাথপুর গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে। আর নাইম সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে।
পুলিশ হেফাজতে থাকা নাইম পুলিশকে জানিয়েছে, এক বছর হলো তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। তারা শহরের পালবাড়ির মোড়ের একটি বাড়ি ভাড়া করে স্বামী স্ত্রী রূপে বসবাস করতেন যা বাড়ির মালিকও জানতেন না। নাইম অভয়নগরের নওয়াপাড়া বাজারের অ্যামোটক বিডি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। আর বন্যা নার্সিং পাশ করেছে। বন্যা প্রায় সময় তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। কিন্তু চাকরির স্থায়ীত্ব, ছোট বোনদের বিয়ে দেয়া এই সব বলে নাইম এড়িয়ে যেতেন। শেষে নাইমের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন বন্যা। কোনো কুল না পেয়ে শনিবার সকালে ভাড়া বাসাতেই নিজের ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার সময় নাইম বাসাতেই ছিলেন। তিনি দ্রুত উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন বন্যাকে। ততক্ষণে বন্যা মারা যান। হাসপাতাল থেকেই নাইমকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। বন্যার লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তার স্বজনেরা জেনারেল হাসপাতালে ছুটে আসেন। মর্গে বন্যার মরদেহ দেখে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিহতের পিতা হারুন অর রশিদ জানান, তার মেয়ের সম্পর্ক বা বিয়ের বিষয়ে তারা কিছু জানতেন না। মত্যুর পর শুনলাম নাঈমের সাথে তার সম্পর্ক ছিল।
মা রেহেনা খাতুন জানান, কিভাবে তার মেয়ে বন্যার মৃত্যু হয়েছে এটা তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে শুনেছেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই মিনারা জানান, বন্যার মৃত্যুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে তার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। তারা আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা করতে রাজি হননি। এসআই মিনারা আরও জানান, বন্যার কথিত স্বামী নাঈমকে তার পিতা মাহবুবুর রহমানের জিম্মায় দেয়া হয়।