
হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী) নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বান্দরবান ৩০০ নং আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর, জেলা পরিষদের সদস্য ও বারবা নির্বাচিত জেলা আইনজীবী'র সমিতির সভাপতি এড.আবুল কালাম নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন নাইক্ষ্যংড়ি সদর ৩,৪,৫,৬ ওয়ার্ড।
গত শুক্রবার (২২ ই আগস্ট ) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে, গ্রামে ও পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষদের সঙ্গে গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় সঙ্গে থাকা জামায়াত নেতাকর্মীরা দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট চান।
গণসংযোগ করাকালে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ আবু নাসের, চট্টগ্রাম দক্ষিণ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ সভাপতি মাওলানা মোঃ রফিক বসরী, দৈনিক সংগ্রামের প্রতিনিধি ও মিডিয়া সেলের ইনচার্জ, উপজেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক সাংবাদিক মাহমুদুল হক বাহাদুর, সদর জামায়াতের সংগ্রামী আমীর মাস্টার আব্দুল গফুর, এড.ইব্রাহিম, সোনাইছড়ি ইউনিয়ন জমায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ আবু সুফিয়ান, সদর ৪ নং ওয়ার্ড সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মাস্টার ক্যাচিং চাক, চাথোয়াই চাক পাড়ার কারবারি মংচিং চাকসহ জামায়াতের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গণসংযোগকালে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এড.আবুল কালাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন চায় সৎ লোকের শাসন চাই। আমরা ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজী মুক্ত সমাজ এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করবো ইনশাল্লাহ। আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নির্বাচনে সকল সম্প্রদায়ের সমর্থন আশা করেন তিনি।
স্থানীয় দোকানপাট, গলি, মহল্লা ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে মা-বোন ও তরুণ ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এড.মুহাম্মদ আবুল কালাম। তিনি এলাকাবাসীর দুঃখ-কষ্ট ও সমস্যা শুনে আগামী দিনে বান্দরবানের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
গণসংযোগকালে তিনি কর্মীদের সাথে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন, কার কি ভোগান্তিতে আছে সব কথা শুনেন 'আপনাদের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করব এবং আপনারা যদি আমার পাশে থেকে দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে কাজ করেন তাইলে বান্দরবানকে একটি রোল মডেল জেলা হিসেবে পরিণত করব ইনশাআল্লাহ এই সময় প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা গত ১৭ বছর জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। তারপরও কোনো কিছুতেই জামায়াতে ইসলামী এক মুহুর্তের জন্য থেমে থাকেনি, থেমে যায়নি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী নতুন বাংলাদেশ গড়বে।