
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীতে হেল্প হেল্প বলে ডেকে শিক্ষক মারুফ কারখীর ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে তাকে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি আবুল কালাম আজাদ নিশ্চিত করেছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষক মারুফ কারখী নিজেই বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। তিনি রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। ১৯ আগস্ট ছাত্রীটির ছুরিকাঘাতে তাঁর গলা ও হাতে জখম হয়। বর্তমানে তিনি রাজশাহীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত শিক্ষক জানান, মেয়েটি প্রথমে হেল্প হেল্প বলে চিৎকার করছিল। ভেবেছিলাম বিপদে পড়েছে, হয়তো ছিনতাই হচ্ছে। তাই থেমেছিলাম। আমি থামতেই সে দৌড়ে এসে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। মুখে মাস্ক থাকায় প্রথমে তিনি তাকে চিনতে পারেননি। রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় স্থানীয়রা ছাত্রীটিকে আটক করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলেও পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। প্রায় ১৬ বছর বয়সী ওই ছাত্রী পূর্বে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলেই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল। কিন্তুু উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণ ২০২৩ সালে তাকে টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দেওয়া হয়। বর্তমানে সে শহীদ কর্নেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ছে।
ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের একজন কর্মকর্তা জানান, টিসি দেওয়ার কারণে ওই শিক্ষার্থীর মনে ক্ষোভ ছিল। তার এই ক্ষোভ কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে নয়, বরং পুরো স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতি ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, শিক্ষক মারুফ কারখী তার আক্রমণের শিকার হন।