
আশিকুর রহমান শান্ত
ভোলা প্রতিনিধি
অন্যের জমি দখল নিতে জমির প্রকৃত মালিকদের বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে তাদের জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চরসামাইয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন মাতাব্বর এর ভাই মনির মাতাব্বর গংদের বিরুদ্ধে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৃত মোঃ হানিফ চৌকিদারের বসতবাড়ির ১৩ শতাংশ জমি দখলে নেয়ার জন্য মৃত হানির চৌকিদারের একমাত্র ছেলে মোঃ মিজানুর রহমানের নামে মহিউদ্দিন চেয়ারম্যানের ভাই মনির মাতাব্বর একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দিয়ে ক্ষ্যান্ত হয়নি মনির মাতবর গংরা। আরো মিথ্যা মামলা, হামলা ও হত্যার হুমকি দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা দীর্ঘ ৫০/৬০ বছর আগে এই বাড়ি করেছে। তখন থেকে আজ অব্দি আমরা এ বাড়িতে বসবাস করে আসছি। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশ সূত্রে এই ৫৯ শতাংশ জমির মালিক আমি হই। মাস দুয়েক আগে মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান এর ভাই মনির মাতাব্বর গংরা আমার বাড়ির ভিতরে ১৩ শতাংশ জমি পাবে বলে দাবি করে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা দেয়। অথচ এই পুরো জমির মালিক আমি। পশ্চিম চরকালী মৌজার সাবেক জেএল ৬৬, হালে ৬৪, যার দাগ নং এসএ ১৪৬৬ ও ১৪৬৭, সাবেক বিএস ২৭৬৯ ও ২৭৭১। মামলা চলাকালীন সময়ে তদন্ত কর্মকর্তা ভেদুরিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তসিলদার আলাউদ্দিন ভুল রিপোর্ট দিয়ে আমাকে আরো হয়রানি করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ফরিদ বলেন, এই জমির মালিক মিজানের দাদা লুতু চৌকিদার, তার দাদা মারা যাওয়ার পর এই জমির মালিক হন তার বাবা। তার বাবা মারা যাওয়ার পর বর্তমান মালিক মিজান। দীর্ঘ ৪০-৫০ বছর তারা এখানে বাড়িঘর করে বসবাস করে আসছে। এখন হঠাৎ করে মহিউদ্দিন চেয়ারম্যানের ভাই মনির মাতাব্বর সহ কয়েকজন এই জমি তাদের বলে দাবি করে।
স্থানীয় বজলুর রহমান বলেন, আমাদের এখানের হাবিবুর রহমান দালাল বাড়ি জামে মসজিদ এর ১৩ শতাংশ জমি মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান ও তার বাবা লালু মাতাব্বর জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে।
পশ্চিম চরকালীর বাসিন্দা নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের চাষ করা ৪০ শতাংশ জমি মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান গংরা তাদের বলে দাবি করে আমাদের বিরুদ্ধে একে একে কয়েকটি মামলা দেয়। এখন আমাদেরকে বলে এই জমি তাদেরকে ছেড়ে দিতে হবে, না হয় আমাদেরকে মেরে ফেলবে।
এ বিষয়ে মনির মাতাব্বর বলেন, কাগজ দেখে বলতে হবে। মামলার রায় আমার পক্ষে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে আদালতে চলমান মামলার আগামী তারিখ ১৯ আগস্ট।
তদন্ত কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, বিবাদী মিজানুর রহমান নিজে বলেছে তারা ৫ আগস্টের পরে এ জমি দখল করেছে। আমি তাদের কথা অনুযায়ী রিপোর্ট দিয়েছি।