
বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি। রংপুরে বদরগঞ্জে অসহায় এক পরিবারের তফসিল বর্নিত জমি জোর করে দখলে চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এমন অমানবিক ঘটনা ঘটেছে রবিবার ১০ আগস্ট পৌরশহরে পকিহানা গ্রামে।
এঘটনায়, জমির মালিক গনেশ মহতী রবিবার বিকেলে থানায় আবু বক্কর ছিদ্দিককে প্রধান করে চারজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গনেশ মহতী পৌরশহরে পকিহানা গ্রামে ১ একর ৪৭ শতক তফসিল ভুক্ত জমি রয়েছে। জমিটি পৈতৃক সূত্র পাওয়া। ৪০ বছর থেকে জমিটি চাষাবাদ করে আসছেন তিনি।বর্তমান এই ১ একর ৪৭ শতক জমিতে ঘাস লাগানো হয়েছিল।ঘটনার দিনে আতিকুর রহমান বাচ্চু তার লোকজন নিয়ে ভুক্তভোগী জমিতে ফিল্মী স্টাইলে বেআইনি ট্রাক্টর নিয়ে যেয়ে জমিতে চাষাবাদ শুরু করে।
এতে, ২ লক্ষ টাকার ঘাস নষ্ট হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গনেশ মহতী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল আসে। এসময় আতিকুর রহমান বাচ্চু জমি থেকে তার লোকজন নিয়ে সটকে পড়ে।
এতে, ২ লক্ষ টাকার ঘাস নষ্ট হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গনেশ মহতী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল আসে। এসময় আতিকুর রহমান বাচ্চু জমি থেকে তার লোকজন নিয়ে সটকে পড়ে।
বাদল কৈরি নামে এক ব্যাক্তি বলেন, ওরা যেভাবে দলবদ্ধ হয়ে জমি দখল করতে এসেছে। আমরা এগিয়ে আসলে আমাদের জানে মারি ফেলবে বলে হুমকি দেয়। ভয়ে আমরা জমিতে না যেয়ে ৯৯৯ ফোন দিয়ে রক্ষা পাই। আমরা সংখ্যালঘু দেখে আমাদের উপর এত অত্যাচার। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পকিহানা গ্রামে অন্তত ৫ জন লোক বলেন, আমরা ছোট থেকে দেখে আসছি ঐ জমি গনেশ মহতী পরিবারের লোকজন চাষাবাদ করে আসছেন। হঠাৎ করে রবিবার জমিতে দেখি অন্য লোক এসে চাষাবাদ করছেন, এটা অন্যায় জুলুম।
অভিযোগ অস্বীকার করে আতিকুর রহমান বাচ্চু বলেন, আমি কিছু দিন আগে ঐ জমির রায় আদালত থেকে পেয়েছি। তিনি আরো বলেন, সকল ধরনের রেকর্ড আমাদের নামে হয়েছে। তাই প্রকৃত পক্ষে এই জমির মালিক আমি।
অভিযোগ অস্বীকার করে আতিকুর রহমান বাচ্চু বলেন, আমি কিছু দিন আগে ঐ জমির রায় আদালত থেকে পেয়েছি। তিনি আরো বলেন, সকল ধরনের রেকর্ড আমাদের নামে হয়েছে। তাই প্রকৃত পক্ষে এই জমির মালিক আমি।
বদরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক এসআই রফিক বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।