রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর।
রংপুরে বদরগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করে বসতবাড়ি ভাংচুর অভিযোগ উঠেছে। আহত প্রতিবন্ধী ব্যাক্তির নাম সাদিকুল ইসলাম। তিনি উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছেন। এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে রবিবার ৪ জুলাই দামোদরপুর ইউনিয়ন ইন্দ্রাপাড়া গ্রামে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী স্ত্রী আখিমনি থানায় পাঁচ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা হলেন, শরবানু,ও তার স্বামী টুটুল, রাবেয়াবাসুরী, আনোয়ার হোসেন, হাফিজুর রহমান।
এঘটনায় ভুক্তভোগী স্ত্রী আখিমনি থানায় পাঁচ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা হলেন, শরবানু,ও তার স্বামী টুটুল, রাবেয়াবাসুরী, আনোয়ার হোসেন, হাফিজুর রহমান।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিনে বাক প্রতিবন্ধী সাদিকুলের মেয়ে সাদিয়া ও বিবাদী ছেলে লিমন বাড়ির সামনে খেলছিল। এক পর্যায়ে দুই শিশু মধ্যে খেলতে খেলতে ঝগড়া হয়। এতে লিমন মা শহরবানু দৌড়ে এসে সাদিয়া কে মারধর করে। পরে সাদিয়ার বাবা বাক প্রতিবন্ধী সাদিকুল এগিয়ে আসলে তাঁকেও মারধর করে শহর বানু ও তার লোকজন। পরে ঘটনার সময় সাদিয়ার মা আখি মনি এগিয়ে এলে তাকে চুলের মুঠি টেনে মারধর করে।
এক পর্যায়ে ৪ নম্বর বিবাদী আনোয়ার ও ৫ নম্বর বিবাদী হাফিজুর আঁখি মনির পড়নে কাপড় ধরে টানা হ্যাচড়া করেন। ঘটনাটি মিটমাটের পর বিবাদীরা একজোট হয়ে সাদেকুল বসতবাড়ি বেড়া ভাংচুর করে। এছাড়া একটি, গাছ কর্তন করেন তারা।
এক পর্যায়ে ৪ নম্বর বিবাদী আনোয়ার ও ৫ নম্বর বিবাদী হাফিজুর আঁখি মনির পড়নে কাপড় ধরে টানা হ্যাচড়া করেন। ঘটনাটি মিটমাটের পর বিবাদীরা একজোট হয়ে সাদেকুল বসতবাড়ি বেড়া ভাংচুর করে। এছাড়া একটি, গাছ কর্তন করেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইন্দ্রাপাড়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, শহরবানু খুব খারাপ প্রকৃতির মানুষ। তিনি প্রায় সময় বাক প্রতিবন্ধী সাদিকুলের পরিবারের সঙ্গে লেগেই থাকে। তাদের বিচার হওয়া দরকার। অভিযোগ অস্বীকার করে শরবানু বলেন, সাদেকুল আগে আমাকে মারধর করেছে।
বদরগঞ্জ হাসপাতালে কমিউনিটি চিকিৎসক সানোয়ার হোসেন বলেন, সাদেকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির ডানহাতের উপরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। সাদিয়া নামে এক শিশুর বুকে ও হাতে আঘাতে কথা বললে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম আতিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।