মুন্ডুমালা পশুর হাট এখন ময়লার ভাগাড়।

আপলোড সময় : ২৩-০৭-২০২৫ ১০:১৯:১২ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-০৭-২০২৫ ১০:১৯:১২ পূর্বাহ্ন


দেলোয়ার হোসেন সোহেল তানোর থেকে: রাজশাহী তানোরের সবচেয়ে বড় বাজার মুন্ডুমালা পৌরসভার পশুর হাট তবে এ হাটে ময়লা ফেলানোর কোনো জায়গা নেই বাধ্য হয়ে হাটেই ময়লা ফেলছে ব্যবসায়ীরা। এতে করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে মারাত্মকভাবে। নাকে ও মুখে কাপড় পেচিয়েও দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।


সরেজমিনে মুন্ডুমালা পশুর হাটে দেখা মিলে, মুন্ডুমালা বাজারের পশ্চিম পাশে ছোট্ট একটি মাঠে বসে পশুর হাট সকালে ছাগল/ভেড়া ও দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে গরু/মহিষ ক্রয় বিক্রয়। সপ্তাহে একদিন প্রতি সোমবার এই পশুর হাট বসে দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতা/বিক্রেতা ও পাইকার রা আসেন এই হাটে তবে এই পশুর হাটের পশ্চিম পাশে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা আবর্জনা ও জবাই করা গরুর বর্জ্য এতে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এ গন্ধের মধ্যেয় চলছে পশু কিনা বেচা ফলে অনেকের শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেক পাইকার রা।


মুন্ডুমালা পশুর হাটে আসা এক ক্রেতা বলেন, আমি একটি গরু কিনতে আসছি তবে এই হাটে ময়লা আবর্জনা থাকায় এত দুর্গন্ধ কথা বলাই অসম্ভব হয়ে গেছে গরু কিনব কিভাবে।


গরু বিক্রয় করতে আসা যুগিশো গ্রামের রিপন আলী বলেন, ভাই দুপুরে আসছি গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি তবে মনে হয় বেশিক্ষণ হাটে থাকতে পারবো না কারণ যে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে খুবই সমস্যা হচ্ছে।


ছাগল কিনতে আসা কৃষ্ণপুর গ্রামের হারুন বলেন, একটা ছাগল কিনেছি তবে এই পশুর হাটের বর্তমান অবস্থা খুবি ই খারাপ একেতো কাদা তার উপরে পাগল করা দুর্গন্ধ।


স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়িক বলেন, কর্তৃপক্ষের নজরদারি এখন সময়ের দাবি এই হাটের যেখানে সেখানে পশু জবাই হয়। কশাইরা বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে মাটিচাপা দেয় না। বর্জ্য ফেলে সেই পশুর হাটে এ কারণে প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। হাটের দিন ছাড়াও অন্যান্য দিনে দুর্গন্ধের মাঝে থাকতে হয়। অনেক সময় দুর্গন্ধের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে আমাদের।


জানা গেছে, প্রতিবছর এ হাট থেকে পৌরসভায় কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও দীর্ঘদিন থেকে এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় হতাশ স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীমহল। ভাগাড়ের কারণে আশপাশের আবাসিক বাড়িগুলোর মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।


মুন্ডুমালা হাটের ইজারাদার শরীফ মুন্সী বলেন, মুন্ডুমালা পৌর প্রশাসক কে বিষয়টি জানানো হয়েছে তিনি পৌরসভার কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তবে পৌরসভার কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে না।


মুন্ডুমালা হাটের আরেক ইজারাদার ফিরজ কবির বলেন, ইউএনও মহোদয় বলার পরেও মুন্ডুমালা পৌরসভার কিছু কর্মকর্তার গোরমুসির কারনে এই ময়লা আবর্জনা গুলো অপসারণ হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, বর্তমান পশুর হাটের যে অবস্থা তা বলার ভাষা নেই। ক্রেতা বিক্রেতা তো দূরের কথা দুর্গন্ধের কারণে আমরাই হাটে ঠিকমতো থাকতে পারিনা।


এ বিষয়ে মুন্ডুমালা পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত সালমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বাজারে ময়লা আবর্জনা থাকার কথা না। আমি পৌরসভার কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি ময়লা/আবর্জনা অপসারণ করার জন্য তবে তারা যদি পরিষ্কার না করে থাকে। তবে খুব দ্রুত অপসারণ করা হবে বলে জানান তিনি।





 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]