নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিদেশে চাকরির লোভ দেখিয়ে নবীনগরের কলেজ পাড়ার যুবক জাকারিয়া আহমেদ সিজারকে সৌদি আরবে পাঠায় এক দালালচক্র। কিন্তু সেখানে গিয়ে কোনো কাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। এরপর সেই চক্র পরিবারের কাছে আবারও ৫ লাখ টাকা দাবি করে তাকে মরুভূমিতে ফেলে রাখার হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় জিলানী (৫২), পিতা মৃত মুহাব্বত আলী, হাবিবুর রহমান (৪৮), পিতা মৃত মুহাব্বত আলী সৌদি প্রবাসী—তিনি এবং তার সহযোগীরা মিলে সিজারকে একটি কোম্পানিতে কাজের আশ্বাস দিয়ে সৌদি আরবে পাঠান। প্রথম দফায় প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেন তারা। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর কোনো কাজ না পেয়ে সিজার অসহায় অবস্থায় পড়ে যান। তখন সে কাজের কথা বললে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।
পরবর্তীতে জিলানী ও তার লোকজন সিজারের পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বলেন, চাকরি নিশ্চিত করতে হলে আরও ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
সিজারের মা জানায়, ছেলের ভাল কাজ ও সুখের কথা চিন্তা করে ৫ লাখ টাকা দেয় দাললচক্রকে।
ভুক্তভোগীর মা মুন্না বেগম অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, আমরা ধারদেনা করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছি। কাজ না দেওয়ায় আবার ৫ লাখ টাকা দিছি ছেলের ভাল একটা কাজ ও সুখের জন্য। কিন্তু তারপর ও তাকে কাজ না দিয়ে মরুভূমিতে ফেলে চলে আসে এই ঘটনায় নবীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, নবীনগরে কিছু চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে চাকরির নামে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ হবে না।