হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী), নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি খাল থেকে মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী বিবিশন বড়ুয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের তিনদিন পর শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের সময় খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় লাশটি দেখতে পান স্থানীয়রা।
স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাপিতের চর এলাকার ছুরুত আলমের বাড়ির পাশের নাইক্ষ্যংছড়ি খালের উত্তর পার্শ্বে বালির মধ্যে আটকে থাকা লাশটি প্রথম দেখতে পান স্থানীয় চৌকিদার আহমদ উল্লাহ। তিনি বিষয়টি মোবাইল ফোনে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অবহিত করেন।
এদিকে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ২ নম্বর ওয়ার্ড বড়ুয়া পাড়ার মৃত কালা চান বড়ুয়ার পুত্র মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী বিবিশণ বড়ুয়া (৫৫) সরেজমীনে গিয়ে দেখলাম গত ৩ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছেন এক সবজি বিক্রেতা নাম বলতে অনিচ্ছুক তিনি বলেন," শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থও ছিলেননা এবং নম্র ভদ্রলোক ছিলেন এ ঘটনাটি মর্মান্তিক ও রহস্যজনক তদন্ত করলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আমরা গত তিনদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাইনি। আজ সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি নিথর দেহ খালের পানিতে।"
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আমরা গত তিনদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাইনি। আজ সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি নিথর দেহ খালের পানিতে।"
এই ঘটনার বিষয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে।
সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী এসআই জুয়েল চৌধুরী বলেন, "লাশটি বালির মধ্যে আটকা ছিল এবং কিছুটা পচন ধরেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।"
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, বিভীষণ বড়ুয়া একজন শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। তার এ রহস্যজনক মৃত্যু এলাকায় নানা গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে।
তবে,পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে এটি পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বলেই ধারণা করা হলেও, ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।