
সোহেল রানা, ঢাকা
রাজধানীর মহাখালীর অপরাধ জগতে আগে ছিল বনানী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ সরদার সোহেলের রাজত্ব! মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির একাংশের নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে। ক্ষমতার হাতবদলে সেই রাজত্বের দখল নিয়েছেন বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু। ৫ই আগষ্টের পর সবার আগে দখল করেছেন সোহেলের যুবলীগের অফিস। সেটিকে এখন মিশু বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের অফিস বানিয়েছেন।
এই অফিসকে পুঁজি করেই স্বেচ্ছাসেবক দলের নাম ভাঙিয়ে মিশু এখন চাঁদাবাজি করছে মহাখালী আমতলীতে ফুটপাতের দোকানপাটে। এছাড়া অভিযোগ এসেছে মিশু ও তার ভাতিজা শফিকুল ইসলাম শাকিল মহাখালী বেপরোয়া মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। ভাতিজা শাকিল একজন মাদকাসক্ত বলেও জানিয়েছে এলাকাবাসী। চাঁচা ভাতিজার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অতিষ্ঠ প্রায় মহাখালী বাসী।
এই অফিসকে পুঁজি করেই স্বেচ্ছাসেবক দলের নাম ভাঙিয়ে মিশু এখন চাঁদাবাজি করছে মহাখালী আমতলীতে ফুটপাতের দোকানপাটে। এছাড়া অভিযোগ এসেছে মিশু ও তার ভাতিজা শফিকুল ইসলাম শাকিল মহাখালী বেপরোয়া মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। ভাতিজা শাকিল একজন মাদকাসক্ত বলেও জানিয়েছে এলাকাবাসী। চাঁচা ভাতিজার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অতিষ্ঠ প্রায় মহাখালী বাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মহাখালী বন ভবন এলাকায় আগে যুবলীগের সোহেলের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অতিষ্ঠ ছিল সাধারণ মানুষ। এখন সেই জায়গার দখল নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিশু। সোহেল যা যা করতো মিশু-ও ঠিক তাই তাই করছে। সোহেলের স্টাইলে চলছে মিশু। সোহেল প্রতিদিন রাতে মদ খেয়ে পাড়ায় মাতলামি করতো। এখন মিশু ও তার ভাতিজা করে।
ফুটপাতের দোকান থেকে প্রতিদিন চাঁদাবাজি ছাড়াও মিশু যাকে তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে চাঁদাবাজি করে। কিছুদিন আগে বনানীর একটি সিকিউরিটি কোম্পানির মালিক কাউসার আহমেদ বিজয় নামের এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে পঞ্চাশ হাজার টাকা আদায় করেন। প্রথমে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা বানিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে বিজয় ঝামেলা এছাড়া চাঁদা দিয়ে মুক্ত হন।
জানা গেছে, মহাখালী আমতলী থেকে কাঁচাবাজার পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানপাট থেকে এখন চাঁদাবাজি করে মিশু ও তার ভাতিজা শাকিল। এছাড়া বন ভবন এলাকায় মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ এখন চাঁচা ভাতিজার হাতে। আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়েও তারা মামলা বানিজ্য করছেন।
অভিযোগ এসেছে মিশুর ভাতিজা শাকিলের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হোটেল রেস্টুরেন্টের ব্যবসায়ীরাও। যখন তখন খাবার খেয়ে অথবা পার্সেল নিয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়। কিছু বললে দলবল নিয়ে এসে হামলা ভাঙচুর করে।
এদিকে, মহাখালীর প্রধান সড়কে বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশুর বিলবোর্ড স্টাইলে বিশাল বিশাল রাজনৈতিক ব্যানার নিয়ে এলাকা জুড়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। সরেজমিনে দেখা যায়, আমতলী পুলিশ বক্সের পাশে, আমতলী মোড়ে, মহাখালী কাঁচা বাজারের মূল ফটকে বিলবোর্ড স্টাইলে মিশুর বিশাল বিশাল রাজনৈতিক ব্যানার টাঙানো। এমন যায়গায় লাখ লাখ টাকা খরচ করেও বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড বসানো যায়না। সেখানে মিশুর রাজনৈতিক ব্যানার দেখলেই মহাখালীতে তার প্রভাব আন্দাজ করা যায়।