নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ আট বছর পর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে আবাসিক ছাত্র হল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরুর সময় থেকেই শিক্ষার্থীরা অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন ভাড়া বাসা ও মেসে অবস্থান করছিলেন, যা তাঁদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছিল। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে ও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থায়ী হল নির্মাণের জন্য ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (DPP) তৈরি করে ইউজিসিতে জমা দেয় এবং ইউজিসির নির্দেশনাক্রমে অস্থায়ী ভিত্তিতে হল নির্মাণ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ১১০ জন শিক্ষার্থী হল সুবিধা পাবে। প্রতিটি কক্ষে ২-৩জন শিক্ষার্থী থাকতে পারবে। তবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্মিত হলের পরিধি কম থাকায় থাকছে না লাইব্রেরি বা পাঠকক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া হল বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলেন।
তিনি বলেন, "হল নির্মাণের মূল কাজ শেষ। এখন শেষ মূহুর্তের কাজ চলছে। আমাদের কিছু ফার্ণিচার এসেছে বাকীগুলো জুলাইয়ে আসবে। মূলত অফিস সেট আপ জুলাইয়ে এবং শিক্ষার্থীরা আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে উঠতে পারবে।"
আবেদন প্রক্রিয়া কেমন হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, "ইউজিসির নীতিমালা অনুসারে পঞ্চাশ শতাংশ সিট পাবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। বাকি পঞ্চাশ শতাংশ সিট পাবে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে দূরত্ব ও মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।"
হলে মৌলিক সুবিধার মধ্যে বিদ্যুৎ ও ক্যান্টিন থাকবে। তবে জেনারেটর বা আইপিএস থাকবে কিনা তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।জরুরি চিকিৎসাসেবা বা ফাস্ট এইডের ব্যবস্থা থাকবে কিনা এ বিষয়ে হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবে।
হলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ''উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সম্পূর্ণ হল সিসিটিভির আওতাধীন থাকবে পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে গার্ড ও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এখনো প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়নি তবে জুলাইয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে।
হলে ছাত্ররা রাজনীতি চর্চা করতে পারবে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, "হলে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে। এমনকি সামাজিক শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কার্যক্রমও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।"
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধানে ৩৫জনের একটি ছাত্রী হল পরিচালিত হলেও ছাত্রদের জন্য কোনো হল ছিল না। ২০১৮ সালে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে দুটি অনুষদের অধীনে তিনটি বিভাগে-স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ১১৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম আরম্ভ হয়। বর্তমানে পাঁচটি বিভাগে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০০০ জন।