বাকৃবি প্রতিনিধি : কোনো খাদ্যদ্রব্য না জেনে গ্রহণ করা উচিত নয়। কীভাবে তৈরি হচ্ছে, কী উপাদান ব্যবহৃত হচ্ছে, মেয়াদ কতদিন—এসব বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকা একজন সচেতন ভোক্তার প্রধান দায়িত্ব। দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু লাভ নিয়ে ভাবে, ভোক্তার অধিকার ও নিরাপত্তার প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। তাই ভোক্তাদের হতে হবে সচেতন ও প্রতিবাদী।
রবিবার বিকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য ও বাকৃবি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম গোলাম হাফিজ কেনেডি। বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগিতায় সেমিনারটির আয়োজন করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাকৃবি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং অধ্যাপক ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য অধ্যাপক ড. এ এস এম গোলাম হাফিজ কেনেডি, মূল আলোচক হিসেবে ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাকৃবির গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওয়াকিলুর রহমান।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং ভোক্তা অধিকার কর্মীরা।
এসময় মূল আলোচক জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তর এখন দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। তবে আইন যতই থাকুক, যদি আমরা নিজেরা সচেতন না হই, তাহলে সেসব আইন বাস্তবায়নে কার্যকর হবে না। একজন ভোক্তার দায়িত্ব হচ্ছে পণ্যের উৎপাদন ও মেয়াদ, গুণগত মান সম্পর্কে ধারণা রাখা এবং প্রয়োজনে অধিদপ্তরে অভিযোগ করা। এখন সিসিএমএস ব্যবস্থার মাধ্যমে সহজেই অভিযোগ জানানো সম্ভব।