কুড়িগ্রামের উলিপুরে জোরপূর্বক রাস্তা তৈরিতে বাঁধা দিতেই দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ

আপলোড সময় : ২৩-০৬-২০২৫ ১০:২৭:৫৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-০৬-২০২৫ ১০:২৭:৫৪ অপরাহ্ন

 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে জোর পূর্বক জমি দখল করে রাস্তা তৈরি করার সময় বাঁধা দিতে গেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফড়া গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।


অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফড়া এলাকার রবিউল ইসলাম (৫৩) এর সাথে প্রতিবেশী হারান আলী (৪০) গংদের সাথে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার (১২জুন) বিকেলে হারান আলী তার গংদের সাথে নিয়ে রবিউল ইসলামের আবাদি জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা তৈরি করছিলেন।


এসময়, রবিউল ইসলামের ভাতিজা আব্দুর রহিম বাঁধা দিতে গেলে তাকে দেশীয় অস্ত্র সহ ঘিরে ফেলে। পরে রবিউল ইসলাম ভাতিজাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে এজাহার ভুক্ত নমিয় ২নং আসামীর হুকুমে রবিউল ও তার স্ত্রী নুরনাহার বেগম, ছেলে জাহিদ হাসান এবং জাকারিয়া জনিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুত জখম করেন। আহতদের মধ্যে নুরনাহারের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


আহত রবিউল ইসলাম অভিযোগে বলেন, হারান আলী ও তার লোকজন কোন কারন ছাড়াই আমি সহ আমার পরিবারের লোকজনদের মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। আমাদের আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।


এদিকে ঘটনার, পর ১৭ জুন রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে হারান আলীকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।


রবিউল ইসলাম জানান, উক্ত আসামীগণ আমাকে এখনো প্রকাশ্যে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন, প্রাণনাশের হুমকি প্রদান ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে আসছেন।


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরুল ইসলাম বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত ও সুস্থ্য রয়েছেন।
 

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 



 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]