
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ১৬৮তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এই কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। এতে ৩৫৭ জন টিআরসি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অভিবাদন গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান। পরে প্রশিক্ষণে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী টিআরসিদের হাতে পুরস্কার এবং সনদ তুলে দেন।
এর আগে অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ কনস্টেবলদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে মাঠ পর্যায়ে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিনিয়ত জনসেবা, জ্ঞানচর্চা ও বাস্তব জীবন হতে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হবে। আপনাদের আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত দায়িত্ব, যোগ্যতা, আন্তরিকতা ও পেশাদারির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার মতো মহান দায়িত্ব পালন করতে হবে।
জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে স্থিতিশীল ও মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বদরবারে পরিচিত। বর্তমান সরকার পুলিশকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন করে বাংলাদেশের পুলিশকে বিশ্বমানের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালু করেছে।
তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মাধ্যমে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা পুলিশের প্রধান দায়িত্ব। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কর্মপরিধি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে অপরাধ কৌশল। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সময়োপযোগী আধুনিক পুলিশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে দীর্ঘদিন পর পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে আমূল এবং আধুনিকভাবে পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। অতি স্বচ্ছতার সঙ্গে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে পুলিশের এক নবযাত্রা সূচিত হয়েছে, রচিত হয়েছে এক নতুন ইতিহাস। অনুষ্ঠানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, নবীন কনস্টেবলদের অভিভাবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।