পেকুয়া প্রতিনিধি:-
কক্সবাজারের পেকুয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান ডেভিল হান্ট'এ নি'ষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১৮ জুন (বুধবার) বিকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, আমরা ডেভিল হান্ট অভিযানের অংশ হিসেবে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ একাধিক অপরাধ মুলক মা'মলা রয়েছে। তারা সকলেই নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বৃহস্পতিবার চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ'দালতে পাঠানো হয়েছে এবং এ অভিযান অ'ব্যাহত থাকবে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, টইটং ইউনিয়নের কেরনছড়ি এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র রুবেল হোসেন (২৬), ধনিয়াকাটা পূর্ব পাড়া এলাকার জাফর আলমের পুত্র মো.মোক্তার হোসেন ওরফে কালু (৩২), হিরাবুনিয়া পাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের পুত্র মোকারজের ওরফে টিপু (২৫), মগনামা ইউনিয়নের নুইন্যার পাড়া এলাকার আহমদ কবিরের পুত্র মোস্তাক মিয়া (৩৫), বাজার পাড়া এলাকার মৃত আবদু ছত্তারের পুত্র ও সাবেক ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ মাদু (৫৫), সদর ইউনিয়নের হরিণাফাঁড়ি এলাকার আহমদের পুত্র মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন (৩৬), পশ্চিম ব্যাইমাখালী এলাকার মৃত বশরত আলীর পুত্র মো. আলমগীর (৫৩), রাজাখালী ইউনিয়নের উলুদিয়া পাড়া এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র মো.আলম (৩৫), সুন্দরীপাড়ার মৃত উলা মিয়ার পুত্র জামাল হোসেন (৪৫), তাঁর ছেলে শহিদুল ইসলাম সাদ্দাম (২১) ও শিলখালী ইউনিয়নের সেগুনবাগিচা এলাকার মৃত আলী হোসেনের পুত্র নাছির উদ্দিন (৫৫)।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পটভূমিতে রয়েছে চা'ঞ্চল্যকর রাজনৈতিক পরিস্থিতি। একইদিন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলায় মোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ঘটনার পর চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করে এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলায় ব্যাপক অভিযান চালায় এবং চকরিয়া উপজেলা এলাকা থেকে আরও ১৬জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেলা জুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতা, অপরাধ এবং অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না, অপরাধীর পরিচয় রাজনৈতিক হোক বা ব্যক্তিগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।