বদরগঞ্জে পৈতৃক জমিতে চারাগাছ রোপন, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে চারা উপড়ে ফেলার অভিযোগ।

আপলোড সময় : ১৮-০৬-২০২৫ ০৬:০৫:৩৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৮-০৬-২০২৫ ০৬:০৫:৩৬ অপরাহ্ন

 
রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর : রংপুরে বদরগঞ্জে কালুপাড়ার ইউনিয়ন বৈরামপুর নামাটারী গ্রামে নিজের পৈতৃক ৪৯ শতক জমি রয়েছে, বলে দাবি কটেন সাহাবুজ্জামান কাছু। জমিতে তার জামাতা মেনহাজুল ইসলাম ৪৫০টি কলাগাছ, ১০০ টি বিভিন্ন ফলজ আম গাছের চারা রোপন করেন ।


ভুক্তভোগী সাহাবুজ্জামান কাছু সাংবাদিক কাছে অভিযোগ করে বলেন, কষ্ট করে চারাগাছ গুলো রোপন করি। প্রতিপক্ষ হাফিজা খাতুন লোকজন রাতের আঁধারে কিছু চারা উপড়ে ফেলে নষ্ট করছে। হাফিজা খাতুন মরহুম নুরুল মাস্টার স্ত্রী।


সাংবাদিককের কাছে, কাছু আরো অভিযোগ করে বলেন, ১৯৬৭ সালে আমার মরহুম পিতা সামসুল হকের কাছে  মৃত্যু নুরুল মাস্টার পিতা ইউসুফ উদ্দিন ৯৮ শতক জমিসহ বিভিন্ন দাগে আরো জমি  বিক্রি করেন। পরে দলিল ও বিভিন্ন কাগজপত্রে দেখা যায় নুরুল মাস্টার ফুফু বাচ্চামাই নামে ১৩ শতক জমি রয়েছে। তাহলে বর্তমানে আমি ৮৫ শতক জমির মালিক। ১২ বছর মৃত্যু ইউসুফ উদ্দিন বোন বাচ্চামাই আমাদের বাকি ৮৫ শতক জমির দলিল করে দেয়। কিন্তু  আমাদের ৯২ রেকর্ড ভূলের কারনে নুরুল মাস্টারে স্ত্রী ছেলেরা ৮৫ শতক জমি নিজদের দাবি করে আসছেন। আদালত আমরা রেকর্ড সংশোধনী একটি মামলা চলমান। তারপরও তারা আমাদের নানা ভাবে হয়রানি করছেন।

 
সাহাবুজ্জামান কাছুর জামাতা মেনহাজুল ইসলাম বলেন, রাতের আঁধারে তারা চারাগাছ উপড়ে ফেলে নষ্ট করছে। আমার শশুর সরল মনের মানুষ তাই তারা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন।


তিনি বলেন, জমি মধ্যে আমার ভায়রা রবিউল ইসলাম ৩৬ শতক আবাদ করছেন। আর আমি বাকি ৪৯ শতক জমিতে বিভিন্ন ফলজ চারা রোপন করেছি। তিনি আরো বলেন, আমরা আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা দিয়েছি। যদি আদালত তাদের পক্ষে রায় দেয় তাহলে আমরা জমি ছেড়ে দিবো।

 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাক্তি বলেন, এ জমির মালিক সাহাবুজ্জামান কাছু। তার বাপ দাদার সম্পত্তি। কিন্তু তার  ৯২ রেকর্ড একটু ভূলের কারনে মৃত্যু নুরুল মাস্টার স্ত্রী ও সন্তানরা নিজেদের জমি দাবি করছেন।আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা চলছে।কিন্তু তারা আদালত নিয়ম মানছেন না।

 
অভিযোগ অস্বীকার করে মরহুম নুরুল মাস্টার ছেলে হারুন উর রশিদ সম্রাট বলেন, ঐ জমির সমস্ত কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে। আদালত থেকে আমরা সব ধরনের রায় পেয়েছি। এছাড়াও আমাদের খাজনা, খারিজসহ সব কিছু সম্পাদন করা হয়েছে। তারা আদালতের নির্দেশনা মানছেন না। সাহাবুজ্জামান কাছুর জামাতা মেনহাজুল ইসলাম লোকজন নিয়ে এসে আমার মায়ের নামে জমিতে জোরপূর্বক চাষাবাদ করছেন। এটা তারা চরম অন্যায় করছেন।



 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]