কাউখালীতে জমে উঠেছে মাছ ধরার বিভিন্ন যন্ত্র

আপলোড সময় : ০৬-০৬-২০২৫ ০২:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৬-০৬-২০২৫ ০২:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন
 
 
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি। বর্ষায় নতুন পানি আসার সাথে সাথে খাল-বিল, নদ-নদীতে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীও প্রজাতি মাছের আনাগোনা। আর এসব মাছ ধরতে ব্যবহার হয় চাই বা দুয়ারীর অথবা খাদোইন। 

 
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা দক্ষিণ বাজারে জমে উঠেছে এসব মাছ ধরার যন্তের হাট। সপ্তাহে দুদিন এ বাজারে শত শত মাছ ধরার চাই খুচড়া ও পাইকারী দরে বিক্রী হচ্ছে। জানা গেছে, কাউখালী উপজেলা সহ জেলার  বিভিন্ন এলাকার বহু পরিবার চাই ও দুয়ারি তৈরীর সংঙ্গে জড়িত। বছরের বর্ষা মৌসুমের ৬ মাস তারা এ মাছ ধরার যন্ত্র তৈরির কাজে ব্যাস্ত থাকেন।

 
বিভিন্ন জাতের বাশঁ দিয়ে এ যন্ত্র তৈরি করা হয়। একটি বাশঁ দিয়ে ৭ থেকে ৮টি চাই তৈরি করা হয়। তবে একজন কারিগর একদিনে ৫ থেকে ৬ টির বেশি চাই তৈরি করতে পারে না। প্রতি সোমবার ও শুক্রবার কাউখালী সদরের দক্ষিণ বাজারে এ মাছ ধরার যন্ত্র চাই বিক্রি হয়। প্রকারভেদে বাজারে এক কুড়ি চাই ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রী হয়ে থাকে। এ ছাড়া এক পিস চাই ১২০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এসব যন্ত্র চাই তৈরির জন্য একটি বাশঁ ক্রয় করতে লাগে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। এ যন্ত্রে ছোট মাছসহ বেশির ভাগে চিংড়িমাছ আটকা পড়ে।


চাই তৈরির কারিগর আব্দুর রশিদ জানান, তার পরিবারের সবাই মিলে বর্ষা মৌসুমের ৬ মাস চাই তৈরির কাজ করেন। বাশঁ কেনা থেকে শুরু করে সর্ম্পূন চাই তৈরি করতে যে কষ্ট আর খরচ হয় সে তুলনায় লাভ বেশি হয়না। তবে এ শিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। 

 
দিন দিন খাল-বিল নদীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাছ শিকারীর সংখ্যাও কমে গেছে। যার কারনে চাইয়ের চাহিদাও কমে গেছে। বর্তমান সব জিনিসের দাম বেশি সে তুলনায় চাইয়ের দাম ভাল পাচ্ছেন না। সরকার এ শিল্প বাচাতে স্বল্প সুদে ঋন দিলে তাদের কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে পারতেন।

 
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত প্রতিটি মাছের পেটেই ডিম থাকে। এই মা মাছ না ধরার জন্য জেলেদের বিভিন্ন প্রকার সচেতননতামূলক প্রশিক্ষান প্রদান করাসহ জেলেদের বিভিন্ন সময় সরকারিভাবে প্রণোদন দেওয়া হয়। মাছ শিকারে জেলেরা বিভিন্ন ধরনের অবৈধ যন্ত্র বা জাল ব্যবহার করেন। এগুলো দমনে উপজেলা প্রসাশনের সহযোগিতায় মাঝে মধ্যেই ভ্র্যম্যমান আদালত পরিচালনা করাও হচ্ছে। অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারের কারণে দেশীয় মাছ বিলুপ্তির পথে। 

 
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। অবৈধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন প্রকার অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারের কারণে দেশীয় মাছ ধ্বংসের পথে। 



 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]