নিজস্ব প্রতিবেদক : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে হত্যা মামলার আসামী শরিফুল (৩৮) ভাঙ্গা টোল প্লাজা হতে র্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার।
ভিকটিম (৩৫) এর সাথে আসামী শরিফুল মল্লিক (৩৮) এর সহিত প্রথম বিবাহ হওয়ার ০৩ মাস পর তার স্বামির সাথে তালাক হয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে তার বাবা মো: ইউনুচ শেখ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীর পরমেশ্বরধী এলাকায় শামীম মুন্সীর সাথে বিবাহ দেয়। দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর পরে আসামী শরিফুল মল্লিক ভিকটিমকে কুপ্রস্তাব সহ পুনরায় বিবাহের জন্য প্রস্তাব দেয়।
গত ৩০/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৭:০০ ঘটিকায় আসামী শরিফুল মল্লিকসহ সঙ্গীয় অপরাপর আসামীদের সহযোগীতায় ভিকটিমকে কৌশলে ডেকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।
ভিকটিমকে তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে মোসা: নাজমিন নামে একজন স্থানীয় মহিলার মাধ্যমে জানতে পারেন যে, আসামী শরিফুল মারধরের পর অসুস্থ ভিকটিমকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের অবস্থার আরও অবনতি হলে ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করলে একই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ১৯:৩০ ঘটিকায় ঢাকা নেওয়ার পথিমধ্যে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে।
উক্ত ঘটনায়, ডিসিস্টের বাবা মো: ইউনুচ শেখ বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং- ০৫, তারিখ- ০৩/০৫/২০২৫ খ্রি., ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড, ১৮৬০। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০২/০৬/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ২০.৪৫ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানাধীন ভাঙ্গা টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী শরিফুল মল্লিক (৩৮), পিতা- মৃত আব্দুল হক, সাং- বলিভদ্রদিয়া, থানা- সালথা, জেলা- ফরিদপুর’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।