যথাসময়ে ড্রনের কাজ শেষ না করায় পটুয়াখালী পৌর শহরে জলাবদ্ধতা

আপলোড সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ০৮:৫৬:১১ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ০৮:৫৬:১১ অপরাহ্ন
 
 
মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : এবছর বর্ষা মৌসুম শুরুর দিকে মাত্র ২-৩ ঘন্টার বৃষ্টিতে পটুয়াখালী পৌর শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে জলাবদ্ধতা। পৌর কর্তৃপক্ষের নজরদারীর উদাসীনতার কারণে চলছে এ জনদুর্ভোগ। 

 
সূত্রে জানা যায়, ফ্যাসিবাদী সরকার পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে পটুয়াখালী পৌর শহরের বিভিন্ন ড্রেনের কাজের ঠিকাদারদের ফেলে যাওয়া কাজের অজুহাত এবং পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় যথাসময়ে নির্মাণাধীন ড্রেনের কাজ সম্পন্ন না করায় পুরো শহর জুড়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে বিভিন্ন সরকারি অফিস আঙিনা সহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকার অলিতে গলিতে ও বসত বাড়িতে শুরু হয়েছে জলাবদ্ধতা। 

 
সারজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, ২৪ মে (শনিবার) সকালের মাত্র ২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরের মধ্য আরামবাগের গুরুত্বপূর্ণ একটি আবাসিক এলাকায় প্রায় দুই বছর আগে শুরু হওয়া একটি কাজ শেষ না করায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন পুরা এলাকার মানুষ। শহরের ৮ নং ওয়ার্ড মাদবর বাড়ি এলাকায় অন্তত ২০টির মত পরিবার পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। সাড়ে ৯ নং ওয়ার্ডের ছোট চৌরাস্তার দক্ষিণ দিকের একটি গলি সহ কয়েকটি আবাসিক গলির বাসিন্দারা রয়েছে পানিবন্দী। পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনের পাকা আঙিনার পার্কিং এরিয়ায় জলাবদ্ধতা হয়ে শুরু হয়েছে জন ভোগান্তি।

 
৮ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সবুজ বলেন, এলাকার বন্ধ ড্রেন ও রাস্তার কাজ চালু করার জন্য পৌরসভায় বেশ কয়েকবার তাগিদ দিয়েছি কিন্তু তারা কথার কোন গুরুত্ব দেয় না বলেই আজ আমাদের এই অবস্থা। সামনের পুরো বর্ষার মৌসুম জুড়েই আমরা পানিবন্দী হয়ে থাকবো। 

 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মধ্য আরামবাগে আমি ভাড়া বাসায় থাকি। একদিনের বৃষ্টিতে যেভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে এখানে আমার পরিবার নিয়ে থাকা সম্ভব না। আমি বাসা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

 
পৌর সচিব মাসুম বিল্লাহ বলেন, নির্মাণাধীন রাস্তার ড্রেনের কাজ পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ দেখাশুনা করেন। তারা কাজের সময় নির্ধারণ করে মনিটরিং করেন তাই তারাই ভালো বলতে পারবেন। 

 
পটুয়াখালী পৌর প্রশাসক মোঃ জুয়েল রানা বলেন, পৌরসভার ট্রেনের কাজ শুরুর দিকে একই সঙ্গে অনেকগুলো কাজ শুরু হওয়ায় কিছু কাজ এখনো অসমাপ্ত রয়ে গেছে। ড্রেনের দৈর্ঘ্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো কাজের বরাদ্দ না থাকায় কাজ শেষ না করার অন্যতম কারণ। পরিকল্পনা অনুযায়ী পৌরসভার প্রতিটি খাল পরিষ্কার করা হচ্ছে, খালের মধ্যে ময়লা আবর্জনা ছাড়াও তলদেশে মাটি জমে যাওয়ায় খালের প্রবাহ ঠিকভাবে হচ্ছে না তাই খুব শীঘ্রই সকল খাল পরিষ্কার করা হবে। 
 





 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]