
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম ইসলামের প্রবেশদ্বার। আরবের দাঈগণ এই অঞ্চল দিয়ে এদেশে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেন। তারা শুধু মানুষকেই আপন করে নেননি, এই দেশকেও আপন করে নিয়েছেন। চট্টগ্রামের ঐতিহ্য হলো উদারতা ও সাহসিকতা। আল্লাহর দ্বীনের পথে চলতে গিয়ে আমাদের কাউকে পরোয়া না করে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের উপর যে গুরু দায়িত্ব এসেছে, তার ফসল আমাদেরই ঘরে তুলতে হবে। দ্বীনের যাবতীয় কাজ খালেছ নিয়তে সম্পাদন করতে হবে।
আমীরে জামায়াত বলেন, দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান অর্জনের দিকে গুরুত্ব বাড়াতে হবে। কুরআনের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, যেন তা জ্ঞানের প্রধান উৎস হয়। পান্ডিত্য অর্জনের জন্য নয়, বরং আমলের উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। প্রত্যেককে তার ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষা নিতে হবে। আল্লাহর কাছ থেকে উপকারী জ্ঞান কামনা করতে হবে।
চট্টগ্রাম অঞ্চল দায়িত্বশীল সমাবেশে সাফা আর্কেড কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেওয়ানবাজারস্থ সাফা আর্কেড কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত দায়িত্বশীল সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক আহছানুল্লাহ ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ জাফর সাদেক।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, শুধু জ্ঞান অর্জন নয়, কঠোর পরিশ্রমীও হতে হবে। আল্লাহ আমাদের সাধ্যের বাইরে কিছু দেননি, এই বিশ্বাস নিয়ে সাহসের সাথে অগ্রসর হতে হবে। আমাদের পরিসমাপ্তি যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে হয়।
তিনি আরও বলেন, মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে, এই প্রত্যাশা পূরণে আমাদেরকে দায়িত্বশীলের ভূমিকা নিতে হবে। দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বৃহৎ পরিসরে অংশগ্রহণ করতে হবে। মানুষকে ভালোবাসা ও কাছে টেনে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, জামায়াত কর্মীদেরকেই দেশ গড়ার গুরু দায়িত্ব নিতে হবে। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। চারিত্রিক সততা উন্নয়নের জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আল্লাহর সাহায্য লাভের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির আলাউদ্দিন শিকদার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা আমির অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা আমির মাওলানা আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও নগর জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা নায়েবে আমীর মুফতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ ও এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, রাঙামাটি জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সেক্রেটারি আবদুল জব্বার, কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা সেক্রেটারি মনছুরুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলা সেক্রেটারি মিনহাজুর রহমান, বান্দরবান জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান গতকাল রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহর স্মরণ সভায় যোগ দিতে চট্টগ্রাম আসেন। সকালে বিমানবন্দরে অবতরণ করলে জামায়াত নেতারা তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে সার্কিট হাউজে আসার পথে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সর্বস্তরের উৎসুখ ছাত্র শ্রমিক জনতা প্রিয় নেতাকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায়। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী তিনি মরহুম ডা. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মহানগরী জামায়াতের সাবেক অফিস সম্পাদক মরহুম আবু বকর সিদ্দিকের বাসভবনে তাদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন।