
নিজস্ব প্রতিবেদক : নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন পোল বাজার এলাকা হতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত পালিয়ে থাকা বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামিদের গ্রেফতার এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও বিবিধ প্রতারক চক্রের দ্বারা সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় র্যাব-৬ কর্তৃক উক্ত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে আভিযানিক দল কর্তৃক গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ মে ২০২৫ র্যাব-৬, ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল বেলা ১৬১৫ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন পোল বাজার এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে পলাতক প্রধান আসামি মোঃ রাব্বি শেখ (২২) পিতা- মোঃ ইমরান শেখ, সাং- খড়রিয়া, থানা- কালিয়া, জেলা-নাড়াইলকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিকে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য নড়াইল জেলার কালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ভিকটিমের সাথে অত্র মামলার ০১নং আসামির মোবাইলফোনে পরিচয় হয়। কিছুদিন পরে ভিকটিমকে ০১নং আসামি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৮/০৪/২০২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময়ে নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন খড়রিয়া গ্রামে ০১নং আসামির বন্ধু ০২নং আসামি শাহিন (২৭) এর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ঐ তারিখ রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় উক্ত আসামিদ্বয় ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ধর্ষণের বিষয় জানতে পেরে ২০ এপ্রিল ২০২৫ আসামি (১) মোঃ রাব্বি শেখ (২২) এবং (২) শাহিনদ্বয়ের বিরুদ্ধে নড়াইল জেলার কালিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত ধর্ষণের বিষয় জানতে পেরে র্যাব-৬, ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামিকে গ্রেফতারের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে।