চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালন

আপলোড সময় : ১৭-০৫-২০২৫ ০৮:১৪:৩৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৭-০৫-২০২৫ ০৮:১৪:৩৮ অপরাহ্ন


এম মনির চৌধুরী রানাঃ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. ডাঃ অং সুই প্রজ্ঞা মারমা বলেছেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অন্ততঃ এক-চতুর্থাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ,


বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর ও ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এর থেকে স্ট্রোক ও মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়ে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। স্ট্রোক থেকে অন্ধত্ব, শরীরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ অবশ হয়ে যাওয়া, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন প্রতিরোধে জীবনধারা পরিবর্তন ও প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। আজ শনিবার ১৭ মে সকালে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগ আয়োজিত র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায়


প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার পূর্বে “আপনার রক্তচাপ সঠিকভাবে পরিমাপ করুন, এটি নিয়ন্ত্রণ করুন, দীর্ঘজীবী হোন” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হাসপাতাল থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। হাসপাতালের সর্বস্তরের চিকিৎসক, কর্মকর্তা নার্স ও কর্মচারীরা র‌্যালিতে অংশ নেন।


এর পর কেক কেটে দিবসটির শুভ উদ্বোধনের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফ্রি হেলথ চেকআপ ও হার্ট ফেইলিওর ক্লিনিক উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডাঃ আবদুল মন্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবসের আলোচনা সভায়


বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ একরাম হোসাইন। হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ রাশেদুল হাসান, ডাঃ কিশোয়ার নাসরিন জলি, কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ ইমতিয়াজ উদ্দিন, ডাঃ বোরহান উদ্দিন, অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।


সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডাঃ আবদুল মন্নান বলেন, হাইপারটেনশন সম্পর্কে সব চিকিৎসকের জ্ঞান থাকতে হবে।


যে রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সে রোগীকে কত পর্যন্ত বøাড প্রেশার রাখা লাগবে তা অবশ্যই চিকিৎসককে জানতে হবে। যারা মোটা তাদের প্রেশার এক রকম, স্মোকারদের প্রেশার এক রকম হবে। হাইপারটেনশন যাতে না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। হাইপারটেনশন হলে হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিও মাইয়োপ্যাথি, নিউরোলজিক্যাল ডিস অর্ডার হয়ে স্ট্রোক এবং চোখে রেটিনোপ্যাথি ও নেত্রোপ্যাথি হবে। মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করতে হবে। যারা বয়স্ক তাদের অবশ্যই নিয়মিত ব্লাড প্রেশার মাপতে হবে।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাইপারটেনশন একটি সাইলেন্ট কিলার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাইপারটেনশনের কোনো লক্ষণ থাকে না। শরীরে রোগ আছে, তবে রোগী বুঝতে পারে না। এতে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা ও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের একটি বড় বোঝা হাইপারটেনশন।



 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]