গজারিয়ায় উদ্ধার করা হলো ১৫ হাজার লিটার চোরাই তেল

আপলোড সময় : ২৭-০৪-২০২৫ ১২:৩৭:০৪ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৭-০৪-২০২৫ ১২:৩৭:০৪ পূর্বাহ্ন


 
 
ফাহাদ মোল্লা : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় সন্দেহভাজন চোরাই ভোজ্য তেল (পামওয়েল) পরিবহন করার সময় একটি ট্যাংক লরি ও ইঞ্জিন চালিত দুটি স্টীল বডি ট্রলার স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে দেয়।

 

শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের তেতৈতলা এলাকার মেঘনা পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় আটক করে। পরে গজারিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা ট্যাংক লরিটি থানায় নিয়ে যায় এবং ট্রলার দুটি ঘাট ইজারাদারের জিম্মায় মেঘনা ঘাটে রেখে যান।
 


তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম। তিনি শনিবার দুপুরে জানান, তেল ও বহনকারী যানবাহনের মালিকানা নিশ্চিত করার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
 


জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ মেঘনা ঘাট বাজার এলাকা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙ্গর করা বড় বড় নৌযান (শিপ) থেকে অবৈধ উপায়ে চোরাই তেল বিক্রির নিরাপদ রুট হিসেবে পরিচিত। রাত হলেই সক্রিয় হয় চোরা কারবারী চক্রটি।
 


স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ও প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চক্রটি নদীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। সেই সাথে মেঘনা ঘাটে বৈধ তেল ব্যবসায়ীরা বিষয়টা নিয়ে ছিলেন বিরক্ত। নানা সময় চোরাই তেল চুরির ব্যবসার অপবাদ তাদের মাথায় নিতে হতো। তাই বাধ্য হয়ে স্থানীয় লোকজন বিষয়টা হাতেনাতে ধরার জন্য ওৎপেতে ছিল।


 
স্থানীয় ব্যবসায়ী হেলালউদ্দিন ভূইঁয়া দাবী করেন, গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী বোরহান উদ্দিন (গোপালী বোরহান) নামে পরিচিত এক ব্যক্তি দীর্ঘ বছর ধরে চোরাই তেলের ব্যবস্যা করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ রাতের আধারে তিনি এই ব্যবসাটা করলেও রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে। অভিযুক্ত চোরাইতেল ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিনের সাথে যোগাযোগে চেষ্টা করেও না পাওয়ায তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি





 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]