দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার ফাঁদে জড়িয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

আপলোড সময় : ১৪-০৪-২০২৫ ১১:২৩:১৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৫-০৪-২০২৫ ০৯:৫০:৪৬ পূর্বাহ্ন


 
 
পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দুমকিতে পরকিয়ার ট্রাপে ফেলে জৈবিক চাহিদা পূরণ ও বিয়ের চাপ দিয়ে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেয়া এখন পেশা হয়ে দাড়িয়েছে দু‘সন্তানের জননী এক প্রবাসির স্ত্রী শামিমা আক্তার আঁখির বিরুদ্ধে। বেপরোয়া ওই প্রবাসির স্ত্রীর পরকিয়া প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে তিন যুবকের কাছ থেকে অন্তত: ১০লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রমান মিলেছে। উদ্দেশ্য হাসিলে ব্যর্থ হয়ে এক যুবকের নামে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করেছেন তিনি। এতে রেহাই পায়নি স্থানীয় শালিসবর্গও। এভাবেই প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। 
 
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জনৈক আমির হোসেন হাওলাদারের কন্যা আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসি মোশাররফ হোসেন খান লিটনের স্ত্রী শামিমা আক্তার আঁখি থাকেন দুমকি শহরের উপকন্ঠে ভাড়া বাসায়। তার ১২বছর বয়সী কন্যা অধরা ও ৮বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। দু‘বছর পূর্বে দুমকি সাতানী গ্রামের এক ইউপি সদস্যের ছেলে রাকিব হোসেনের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক হয়। অনৈতিক সম্পর্কের জেরে ছেলে মেয়ে নিয়ে তার বাড়িতে ওঠে এবং বিয়ের জন্য চাপ দেয়। রাকিবের বাবা ইউপি সদস্য তার আত্মসন্মান রক্ষায় রাতারাতি শালিস মিমাংসার নামে ২লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়।
 
চলতি বছরের মার্চ মাসে একই কায়দায় ছেলে মেয়ের গৃহশিক্ষক শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মো: জুয়েল হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসে। দুমকি থানা পুলিশ বুঝিয়ে শুনিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। কিছু ক্ষন পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় পারিবারিক সম্মতিতে গত ৮ মার্চ তারিখে নগদ আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিমাংসা হয় এবং সমাজের গন্যমান্য ব্যাক্তিদের মধ্যস্থতা ও উপস্থিতিতে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে নগদ আড়াই লাখ টাকা লেনদেন হয়। পরবর্তিতে এঘটনায় পটুয়াখালী সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে জুয়েল হাওলাদার ও সালিশবর্গের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে হয়রানী করছেন।

এ ছাড়াও, শামিমা আক্তার আঁখির ছেলে মেয়ের টিউটর পবিপ্রবি‘র শিক্ষার্থী জলিশা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, হাসিনুর নামের অপর আরএক ছাত্রের সাথেও অনৈতিক সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।   
 
স্থানীয়দের দাবি, বিয়ের চাপ দিয়ে টাকা আদায় এখন আঁখির নেশা ও পেশা। বিবাহিত-অবিবাহিত যুবকদের একের পর এক ফাঁদে ফেলে সবকিছু হাতিয়ে নেওয়াই তার কাজ। আর এ কাজ করতে গিয়ে সে বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে নিত্য নূতন কৌশলে শিকার করে চলেছেন।
 
আঁখির প্রতারণার শিকার রাকিব হাওলাদার বলেন, ‘প্রেমের অভিনয় করে আমাকে তার জালে জড়িয়ে ২লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই টাকা দিতে গিয়ে আমি ও আমার বাবাকে আর্থিক ও সামাজিক ভাবে অনেক অপদস্ত হতে হয়েছে।
 
ভুক্তভোগী জুয়েল হাওলাদার বলেন, মানসন্মানের ভয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে। এর পরেও মিথ্যে অপবাদ ও মামলায় হয়রানী করছে।
 
মামলার সত্যতা স্বীকার করে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো: ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে। 





 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]