ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫ , ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অব্যবস্থাপনার ও জড়াজীর্ণ ভবন সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান


আপডেট সময় : ২০২৫-১০-০৫ ১৯:২০:১১
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অব্যবস্থাপনার ও জড়াজীর্ণ ভবন সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অব্যবস্থাপনার ও জড়াজীর্ণ ভবন সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান
 
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থাপনা ও জড়াজীর্ণ ভবনের দ্রুত সংস্কারসহ ৯ দফা দাবিতে গলাচিপা উপজেলা সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে ৯ দফা দাবি সম্বলিত একটি লিখিত স্মারক লিপি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার মেজবাহ উদ্দিনের কাছে জমা দেওয়া হয়। এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন পেশার মানুষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। 


এ সময় বক্তব্য দেন, গলাচিপা পৌর বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. জিয়াউর রহমান জিয়া, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের গলাচিপা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আরিফ বিল্লাহ, মাও. মো. মাহমুদুল হাসান, গলাচিপা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, গলাচিপা উপজেলা ছাত্র অধিকার সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুন্না, রেড ক্রিসেন্ট গলাচিপা উপজেলা শাখার দলপ্রধান মো. ফিরোজ আলম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সায়েদ আহমেদ জয় প্রমুখ।


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবায় নানা অনিয়ম চলছে। চিকিৎসক ও নার্সের সঙ্কট, পর্যাপ্ত ওষুধের অভাব এবং ভবনের বেহাল অবস্থার কারণে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।


তাঁরা আরও বলেন, “গলাচিপা হাসপাতালের বর্তমানে এমন অবস্থা যে এখানে কেউ চিকিৎসা নিতে আসলে সে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া এখানকার নার্স, ডাক্তাররা এমন আচরণ করে যেন রোগীরা মানুষই না। একটি উপজেলার  প্রধান স্বাস্থ্যকেন্দ্র যদি অচল হয়ে পড়ে, তাহলে স্থানীয়দের জন্য এটি ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। দ্রুত সংস্কার ও পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ এখন সময়ের দাবি।” পরে গলাচিপা সরকারি কলেজের ছাত্রী নাইমা হক মেঘলা ও তরিকুল ইসলাম মুন্না গলাচিপা সরকারি হাসপাতাল সংস্করণে ৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এগুলো হল- স্বল্পমেয়াদী কর্মসূচি (দফা) আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হাসপাতাল এবং হাসপাতাল-সংলগ্ন এলাকার সকল ধরণের বজর্য পদার্থ অপসারণ করিতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টয়লেট, বাথরুম এবং বেসিনসহ সকল ধরণের স্যানিটেশন ব্যবস্থা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগীদের জন্য মাসিক খাদ্যতালিকা ও সরকারি বরাদ্দের হালনাগাদ তালিকা বোর্ডে প্রকাশ করিতে হইবে।


তারা দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচিগুলোতে বলেন, আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে শূণ্য পদে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করতে হবে। আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে পুরাতন এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহের সংস্কারের কাজ শুরু করিতে হইবে। আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে গর্ভবতী মায়েদের জন্য সিজার ব্যবস্থা এবং রোগীদের জন্য আধুনিক ল্যাব ও এক্স-রে রু স্থাপন করতে হবে। আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে হাসপাতালে আধুনিক স্টোর রুম, ডিজিটাল টোকেন ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম চালু করতে হবে। আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডিউটি টাইম মনিটরিং এবং অন্তত দুটি সচল অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা নিশ্চিত করিতে হবে। আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জরুরি এবং বহিঃবিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসার সকল সরঞ্জামাদি যথাযথ ভাবে হাসপাতালে সরবরাহ রাখতে হবে।

এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘হাসাপাতালের জনবল সঙ্কট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। স্থানীয়ভাবে যে সংস্কার করা সম্ভব তা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশা করি।


 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ