ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫ , ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঘায় জোরপূর্বক বালু উত্তোলনের অভিযোগ-বালুঘাট বন্ধে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-০৬ ২২:১৫:০০
বাঘায় জোরপূর্বক বালু উত্তোলনের অভিযোগ-বালুঘাট বন্ধে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা। বাঘায় জোরপূর্বক বালু উত্তোলনের অভিযোগ-বালুঘাট বন্ধে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা।

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধসহ উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন ইজারাদার ভুক্তভোগী এসএম এখলাস আহমেদ। বালুমহালটি বাঘা উপজেলার লক্ষীনগর মৌজায় অবস্থিত।

অভিযোগকারী বাঘা বালু মহালের বর্তমান ইজারাদার মেসার্স সরকার ট্রেডার্সের প্রোপাইটার এসএম এখলাস আহমেদ। তিনি রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার টিকাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

অভিযাগের বরাত দিয়ে জানা যায়, বালু মহালের ইজারাদার এসএম এখলাস আহমেদ বাঘা উপজেলার লক্ষীনগর মৌজার বালুমহালটি বাংলা ১৪৩২ সনের ইজারা প্রাপ্ত হন। ইজারামূল্য বাবদ ১,৮১,০০,০০০/-(এক কোটি একাশি লক্ষ) টাকা, ইজারা মূল্যের উপর ১৫% ভ্যাট বাবদ ২৭,১৫,০০০/- টাকা এবং ১০% আয়কর বাবদ ৮,১০,০০০/- (আঠার লক্ষ দশ হাজার) টাকা ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করেন।

অর্থ পরিশোধ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিনামার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে দখল হস্তান্তর করেন, কর্তৃপক্ষ। ইজারাদার বালু মহাল প্রাপ্তির পর সরকারি বিধি ও আইন অনুযায়ী বালু উত্তোলন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কতিপয় দুষ্কৃতিকারী অবৈধভাবে বাঘা উপজেলায় অনুপ্রবেশ করে বালু মহাল এলাকার দুষ্কৃতিকারীদের সহায়তায় ওই বালু মহাল থেকে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করছে। তাদের আইনবিরোধী কার্যকলাপে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ইজারাদার।

এ ব্যপারে ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি), বাঘাকে মৌখিকভাবে অবহিত করলে কর্মকর্তা লিখিতভাবে আবেদন করার পরামর্শ দেন। পরে ইজারাদার অত্র বালুমহাল হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন সাময়িকভাবে বন্ধ করা-সহ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক, রাজশাহী বরাবর গত ৩ আগস্ট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অত্র বালু মহালের ইজারাদার এস.এম.এখলাস আহমেদ।

এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), মোঃ মহিনুল হাসান জানান, বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। জানতে চাইলে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী আক্তার বলেন, আমাকে লেখিত কোন চিঠি দেওয়া হয়নি। তবে মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যদি জোরপূর্বক কেউ বালু মহাল দখল করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে থাকে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।





 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ