ঢাকা , শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫ , ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৭-০৫ ১৬:৫১:২১
কুমিল্লা মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুমিল্লা মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
 
 
মোঃ ইকবাল মোরশেদ, স্টাফ রিপোর্টার।

 
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। নিহত রুবি বেগমের মেয়ে রিক্তা বেগম বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলাটি করেছেন।


জানা যায়, মামলার তথ্য শনিবার (৫ জুলাই) সকালে নিশ্চিত করেছেন বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে মামলাটি করা হয়। মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

 
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় কুমিল্লার মুরাদনগরের আকবপুর এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন মোঃ সবির আহমেদ (৪৮) ও মোঃ নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)।

 
ওসি মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, আটক দুজনকে এই মামলার গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ শনিবার তাঁদের আদালতে নেওয়া হবে।

 
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে গণপিটুনি দিয়ে একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, পরিবারটি দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তবে নিহতদের পরিবারের অন্য সদস্যরা বলছেন, মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড।

 
এই ঘটনায় নিহতেরা হলেন—মোঃ খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), তাঁর ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি (২৯)। এ ঘটনায় পরিবারের আরেক সদস্য রুমা আক্তার (২৮) গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন।

 
গতকাল শুক্রবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই কড়ইবাড়ি কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এ ঘটনায় কড়ইবাড়ি গ্রাম এবং আশপাশে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিহতদের বাড়ি ও আশপাশের এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুবি প্রায় ৪০ বছর ধরে মাদক ও অন্যান্য অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। ‘রুবি আক্তার মঞ্জিল’ নামে তাঁর একটি ৬তলা ভবন রয়েছে, যেখানে ছেলে-মেয়ে ও জামাতারা থাকেন। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন তাঁদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বুধবার ‘মাদকমুক্ত’ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

 
অপর একটি সূত্র জানায়, এক স্কুল শিক্ষকের মোবাইল চুরির ঘটনার পর এলাকাবাসী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে এবং বিষয়টি নিয়ে সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সকালে ওই পরিবারের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলার সময় বাড়ি ভাঙচুরও করা হয়।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ