হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী) নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউনিয়নের অতিবৃষ্টি ওজলাবদ্ধতায় খানা-খন্দকে পরিণত হওয়া দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নয়াপাড়া সড়ক মেরামত করে চলাচল উপযোগী করে দিলেন নয়াপাড়ার স্বেচ্ছাশ্রমে শতাধিক উৎসাহী যুবক।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় নয়াপাড়া সড়কটির এক কিলোমিটারজুড়ে কানা-খন্দকে পরিণত হয়েছে! বর্ষা নামার পর থেকে নয়াপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের জীবনে শুরু হয় মরার উপর খাঁড়ার গাঁ।
উক্ত সড়ক দিয়ে যেতে হয় দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক, ঘুমধুম দাখিল মাদ্রাসা ও নয়াপাড়া পুরাতন কবরস্থানে। বর্ষা নামার পর থেকে সড়কটি জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
ভাঙাচোরা হওয়াতে সড়কটি দিয়ে সহজে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। ঝুঁকি নিয়ে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও দিতে হয় দ্বিগুণ ভাড়া! ফলে পথচারীদের হেঁটে হেঁটে পৌঁছাতে হয় গন্তব্যস্থলে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার জনসাধারণের দূর্ভোগ লাগবে নয়া পাড়ার শতাধিক উৎসাহী যুবক কংক্রিট ব্লক, ইটের খোয়া, মাটির বস্তা ও খুঁটির সাহায্যে সড়কটি রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্ব-উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের মত এমন মহৎ উদ্যোগ হাতে নেওয়ায় এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন নয়া পাড়ার যুব সমাজ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন রুবেল ও ঘুমধুম ইউনিয়নের মিডিয়া সেলের নেতা মোঃ রিদোয়ানসহ নয়া পাড়া যুব সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করে বলেন, গত এক যুগ ধরে উক্ত সড়কটিতে কোন উন্নয়ন কিংবা সংস্কারে ছোঁয়া লাগেনি। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি সড়কটি প্রাথমিকভাবে সংস্কার করার। ভাঙাচোরা ও কানা-খন্দকে পরিণত হওয়া নয়া পাড়া সড়কটি দ্রুত সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন নয়া পাড়াবাসী।