নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মনখুলিয়া বিলে ৪-গ্রামবাসীর উদ্যোগে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইচ উপভোগ করতে আশপাশ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষজন অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত, নৈকাবাইচ প্রতিযোগিতা শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ী ফেরার পথে, নগরকান্দি গ্রামের পয়েন্টে শামসুল মিয়ার দোকানের কাছাকাছি যাওয়া মাত্রই, হঠাৎ পিছন থেকে চার-পাঁচজন যুবক শেভরনের টিকাদার লুতফুর মিয়ার উপর অতর্কিতে হামলা মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই হামলার ফলে লুৎফুর মিয়া গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে যান এবং তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে হামলাকারীরা তখন ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন লুতফুর মিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আহত লুতফুর মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সবাই জানেন আমি বাংলাদেশ শেভরন কোম্পানিতে হাফিজ এন্টারপ্রাইজ নামে লাইসেন্স প্রাপ্ত ঠিকাদার হিসাবে কর্মরত আছি।
লেবার দের বেতন ভাতা দেওয়ার জন্য টাকা নিয়ে আমার অফিসে আসি এসে কোনো শ্রমিক ভাইদের পাইনি নাপেয়ে তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা বলে নৌকাবাইচ দেখাত আইছে সন্ধ্যায় আসবো। তখন আমিও নৌকাবাইচ এর সংবাদ শোনে গতকাল ১৩ জুন শুক্রবার বিকাল ৪টায় বিলের পূর্ব পাড়ে নগরকান্দি গ্রামে আসি প্রতিযোগীতা দেখতে।
নৌকা বাইচ শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ী যাওয়ার পথে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে নগরকান্দি মাঠের নিরজনস্থানে পৌছা মাত্রই আগেথেকে আহুতপেতে থাকা ৬-৭ জন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা, চালায়, মাটিতে পালিয়ে মারধর করে শ্রমিক দের ৭০ হাজার টাকা পয়সা সহ সব চিনিয়ে নিয়ে গেছে।
কারা হামলা করেছে কেন মারধর করেছে জানতে চাইলে লুতফুর মিয়া বলেন, পিরোজপুর গ্রামের আওয়ামীলীগের দুষর আলী হোসেন নামের একজন ব্যক্তি, হাফিজ এন্টারপ্রাজ শেভরনের কন্টাক্ট পাওয়ার পর থেকে লেবারদের ৪-৫ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি পায়, এই বৃদ্ধিকৃত টাকা আলী এন্টারপ্রাইজের প্রোঃ আলী হোসেন পূর্বের কন্টাক্টে মেরে কেতো আর বর্তমানে শ্রমিক দের পোল টাকা দেওয়া হয় এর ফলে এলাকার সব শ্রমিক মিলে আলী এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে আনন্দন করে এবং সমাজে লাঞ্চিত হয়।
এর সূত্র ধরেই লুৎফর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলা করায়। লুতফুর আরোও বলেন, আমার টিকাদারি প্রতিষ্ঠান শেভরনে শ্রমিক নিযোগে কাজ পেয়েছে তাই হিংসা ও খুবে আলীহোসেন আমাকে বিভিন্ন ভাবে হ্যারেজমেন্ট করার চেষ্টা করে। তারি ধারাবাহিকতায় গতকাল আক্রমণ করে আওয়ামীলীগের ৭-জন দুষর তাদের নাম হল, ১. আলী হোসেন- পিতাঃ মছদ্দর আলী ১. মনসুর মিয়া - পিতাঃ রাজা মিয়া ২. লুফু মিয়া- পিতাঃ আব্দুল গফুর ৩. কবির মিয়া - পিতাঃ আব্দুল গফুর, ৪. নুর হোসেন - পিতাঃ মছদ্দর আলী
৫. জালাল মিয়া- পিতাঃ রশিদ উল্লাহ ৬. তাউহিদ মিয়া, পিতাঃ রশিদ মিয়া ৭. রাজা মিশা- পিতা গহেন মিয়া।
নিউজ লিখা পর্যন্ত নবীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান আহত লুতফুর মিয়া।
স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বীয়ান বলেন, যারতার সাথে পূর্ববিরোধ থাকতেই পারে তাইবলে কি অন্য এলাকার লোকজন, নগরকান্দি এলাকায় এসে হামলা মারধর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করবে এটা নীতি নৈতিকতায় পড়ে না।
তাই আমরা প্রশাসন কে বলব উক্ত নেক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন।