ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নে ভিজিডির চাউল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৬-০৫ ১৬:৩৭:৪৪
উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নে ভিজিডির চাউল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ। উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নে ভিজিডির চাউল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ।


মো:কোরবান আলী রিপন, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নে অসহায় হতদরিদ্রের মাঝে সরকারি অনুদানকৃত ভিজিডির মাধ্যমে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।


তারা অভিযোগ করেন, যে স্থানীয় ইউপি সচিব মো: সামছুল ইসলাম ও ইউপি সদস্যরা হতদরিদ্রের মাঝে যে চাইলের কার্ড বিতরণ করার কথা ছিলো তার অধিকাংশ কার্ড চাউল ব্যবসায়ীদের কাছে অর্থের বিনিময় বিক্রি করে দেয়। চাউল বিতরণের সময় এই কথা জানাজানি হলে স্থানীয় সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ করে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসানাত কাছে পৌছালে ইউএনও সাহেব চাউল বিতরণ কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করে দেয়।


এর পরে স্থানীয় প্রশাসক, সচিব ও ইউপি সদস্যরা কিভাবে কার সাথে পরামর্শ করে ০১/০৬/২০২৫ তারিখে আবার চাউল বিতরণ করে তা কার্ডধারীরা জানতে পারে না।অর্থাৎ যাদের নামে চাউল বরাদ্দ হয়েছিলো তাদের অধিকাংশ মানুষ চাউল পায় নাই।


পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সচিব ও মেম্বারদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, প্রথম ধাপে চাউল বিতরণে অনিয়ম এর অভিযোগ উঠায় সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে সচিব ও স্থানীয় প্রশাসক ইউপি সদস্যরা মিলে সিদ্ধান্ত নেয় প্রত্যেকটা ইউপি সদস্য ২৪ টাকা কার্ড জাতীয় পরিচয় জমার মাধ্যমে বিতরণ করবে এবং এভাবে চাউল বিতরণ কার্যক্রম শেষ করা হয়।


কিন্তু স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা এবিষয়ে কিছু জানিনা আমাদের কেউ কিছুই জানাই নাই। আমাদের না জানিয়ে ইউপি সদস্যরা তাদের ইচ্ছে মত তাদের নিজেদের লোকজনের কাছে চাউল বিতরণ করেছে।


এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া আমাদের জানান, ২৮ মে রোজ বৃহস্পতিবার চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে চাউল বিতরণে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এর পরে দুই দিন চাউল নিয়ে বসে ছিলো ইউপি সদস্যরা কিন্তু কেউ চাউল নিতে এসে নাই পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বার, সচিব ও প্রশাসনকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হতদরিদ্র পরিবারের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দিয়ে চাউল বিতরণ করা হবে এবং সে অনুযায়ী চাউল বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।


কিন্তু স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলেন, আমাদের এসব কিছুই জানানো হয় নাই। যে অফিসার বলছে চাউল বিতরণ এর জন্য ইউপি সদস্যরা বসে আছে এমন কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যাদের নামে বরাদ্দ ছিলো তাদের কাউকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছুই জানানো হয় নাই। তারা তাদের বরাদ্দকৃত চাউলের দাবী জানায়।


তারা আরো বলেন, আমাদের ইউপি সচিব ও ইউপি সদস্যরা তাদের বরাদ্দকৃত চাউল আত্মসাৎ করেছে। ভুক্তভোগীরা এর সঠিক বিচার দাবি করে ইউপি সচিব ও সদস্যদের শাস্তির দাবী করেন।


ভুক্তভোগীরা আরো বলেন যে, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পেরেছি যে যদি কোন ইউপি সদস্যর নামে কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাইলে সেই ইউপি সদস্যের সদস্য পদ বাতিল করা হবে।


সেই প্রেক্ষিতে এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। আমাদের কাছে স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ জানান যে, আমাদের এখানে মোট ৩ধাপে চাউল বিতরণ করা হয়। যেহেতু আমাদের এখানে এতো অনিয়ম এর অভিযোগ ছিলো সেহেতু শেষ ধাপে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার সরাসরি এখানে এসে সরাসরি এই চাউল বিতরণ কার্যক্রম উপস্থিত থাকা উচিৎ ছিলো।


এরকম ব্যবস্থা থাকলে এর কেউ কোন অভিযোগ করতে পারতোনা। এবং যাদের নামে চাউল বরাদ্দ হয়েছিলো তাদের কয়জনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে অধিকাংশ ফোন বন্ধ, কিছু ফোন নাম্বার ভুল পাওয়া যায় এবং কিছু মানুষ বলেন আমাদের নামে কার্ড বরাদ্দ ছিলো কিন্তু চাউল বিতরণ সম্পর্কে আমাদের কেউ কিছু জানায় নাই।তারাও এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানায়।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ