নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকার লক্ষ্য থেকে ‘বিশেষ বাজেট’ না দিয়ে প্রবাসীসহ সর্বস্তরের মানুষকে ঠকানোর বাজেট দেয়া হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে অতিতের চেয়ে ৩৮৫ কোটি টাকা কমানোর মধ্য দিয়ে তারা কৃষক-শ্রমিক-শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রবাসীদের অবদানকে অস্বীকার করার প্রবণতা লক্ষণীয়।
৩ জুন বিকেলে ২৭/৭ তোপখানা রোডস্থ বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘প্রত্যাশা : জনবান্ধব বিশেষ বাজেট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম মেম্বার ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা, সদস্য আফতাব মন্ডল প্রমুখ।
মোমিন মেহেদী এসময় আরো বলেন, শিক্ষা ২২%, কৃষি ১৫%, প্রবাসী ৫%, খাদ্যে ১৫% সহ যুব-ক্রীড়াখাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ বাড়িয়ে জনবান্ধব ‘বিশেষ বাজেট’ হিসেবে উপস্থাপন করা না হলে জনগণ ড. ইউনূসসহ শিক্ষার্থী বা অর্ন্তবর্তী সরকারকে প্রত্যাখান করতে বাধ্য হবে। কেননা, বাংলাদেশের মানুষ এক ফ্যাসিস্টের কাছ থেকে আরেক ফ্যাসিস্টের খেলাল পুতুল হওয়ার পক্ষে কখনো ছিলো না, এখনো নেই।
তিনি এসময় আরো বলেন, ‘বিশেষ বাজেট’ দিলে এ বাজেটে অনুদান বৃদ্ধিও রাস্তাটা প্রশস্থ করতে ব্যর্থ হয়ে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি ধরার মধ্য দিয়ে এই সরকার প্রমাণ করেছে ছাত্র-জনতা তাদের উপর ভরসা করে ভুল করেছে।
কেননা, অথর্বের রামরাজত্বে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটে বলেছে- বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৯ হাজার কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯৬ হাজার কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে এক লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা।
ব্যাংক বহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২১ হাজার কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। নতুনধারার প্রস্তাব হলো- ঋণদাতা দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে নোবেলজয়ী হিসেবে আলোচনা করে কিছুটা মওকুফের বা বিলম্বে পরিশোধের ব্যবস্থা করলে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার ঘাণি টানতে হতো না, ৫ আগস্টের চরমতম দুঃসময় পার হয়ে আসা এই দেশটির।
বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার পরিবর্তে ৬ লাখ কোটি টাকা করলে এবং দৃঢ় পদক্ষেপ নিলে তা বাস্তবায়নও সম্ভব বলে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি মনে করে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকাকে ৫ লাখ কোটি টাকা করলে তা আরো সহজ হবে বলেই আমরা ধারণা করছি।