ঢাকা , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাটোরের সিংড়ায় তিশিখালি মাজার মসজিদের ভঙ্গুর দশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০৪-২৯ ১৯:১৪:৫৮
নাটোরের সিংড়ায় তিশিখালি মাজার মসজিদের ভঙ্গুর দশা নাটোরের সিংড়ায় তিশিখালি মাজার মসজিদের ভঙ্গুর দশা




নিজস্ব প্রতিবেদক : হযরত ঘাসি দেওয়ান (রহ) এর মাজার অবস্থিত নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলের প্রানকেন্দ্র ইটালী ইউনিয়নের তিশিখালিতে। সেখানে দৃষ্টিনন্দন মাজার শরিফ রয়েছে। হাজার হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থীরা সেখানে মানত করতে আসে। প্রতি শুক্রবার হাজারো মানুষ আসে এই স্থানে।


সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির প্রচেষ্টায় প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন ভবন করা হয়েছে। মাজার কমিটির সহযোগিতা পেলে অনেক পুর্বেই মসজিদ নির্মান করা যেতো বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী। 

 
তবে এর আগে, মাজার দেখভাল কমিটির কোনো নজরদারি ছিল না। মাজার ও মসজিদের উন্নয়নে তাদের কোন ভূমিকা ছিল না। এতে করে রয়েছে এলাকাবাসীর ক্ষোভ। 

সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর মেলাসহ মাজার কমিটি ২ দিন আয়ের টাকা তাদের কাছে রাখত অথচ এ মাজার ও মসজিদের নিয়ম ছিল উল্টো। 


সরকার বছরে ১ বার যৎসামান্য রাজস্ব পায়, তা মেলার ডাকের সময়। তা দিয়ে মাজার ও মসজিদের কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য সচেতন মহল মাজারটি ওয়াকফ স্টেটের আওতায় এনে সরকারী ভাবে কমিটি করে মাজারসহ অত্র এলাকার উন্নয়ন জরুরী বলে মনে করছেন। তবে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরের তিশিখালি মেলায় অশ্লীলতা ও চাঁদাবাজির স্থান হয়নি। 


সরেজমিনে দেখা যায়, মাজারের পাশে রয়েছে একটি ভঙ্গুর মসজিদ। প্রতি শশুক্রবার মাজার পরিদর্শন এবং মানত করতে আসে হাজারো মানুষ। কিন্তু মসজিদে নামাজ পড়ার স্থান সংকুলন হয় না। সেখানে নামাজ পড়ার জন্য অত্যধূনিক মসজিদ দরকার। 


দুর দুরান্ত থেকে আগত লোকজন নামাজ পড়তে না পেরে  ফিরে চলে যায়। সেখানে একটি টিনের চালে এক সাথে সর্বোচ্চ ২৫/৩০ জন নামাজ পড়তে পারে। তাও বৃষ্টি হলে নামাজ পড়ার অবস্থা থাকে না।টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। 


এর আগে, প্রতি মাজারের দান বাক্সের টাকা পয়সা মাজার কমিটি ভাগ বাটোয়ারা করায় তেমন কোন উন্নয়নমুলক কাজ হয়নি ।


জানা যায়, চলনবিলের প্রাণকেন্দ্রে তিশিখালীতে খ্যাতনামা দরবেশ ঘাসি দেওয়ান প্রায় ৪শত বছর আগে তিরোধন হন। তাঁর তিরোধনের পর তার শিষ্য ও ভক্তরা সেখানে মাজার গড়ে তোলেন।


ঐ মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর চৈত্র মাসের ১৪ তারিখে বিশাল এলাকা জুড়ে মেলা বসে। আর উক্ত মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের প্রায় ৫০টি গ্রাম জুড়ে আত্মীয়, স্বজন ও জামাইদের আগমনে উৎসবে পরিনত হয়। এ মেলায় হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে। মেলায় সব ধরনের মানুষের আগমন ঘটে। রাতভর ভক্তদের আয়োজনে বাউল গানসহ বিভিন্ন গানের আসর বসে। এবছরে মেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে কোন ধরনের অশ্লীলতা ও মাদক, জুয়া দেখা যায়নি।


সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম এবিষয়ে বলেন, এবছরের তিশিখালি মেলা টেন্ডার দেওয়া হয়নি, মাজারের দান বাক্স মেলার আগের দিন সিলগালা করা হয়েছিল ও মেলা শেষে দান বাক্সের টাকা ১ লাখ ২ হাজার ৪শ ৩৩ টাকা (এক লাখ দুই হাজার চারশত তেত্রিশ টাকা) বুঝিয়ে পাওয়া গিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে মাজার এর নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে, মাজার এর নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলা হবে। জমাকৃত টাকা মসজিদের কাজে ব্যয় করা হবে।
 

এদিকে, দর্শনার্থীরা ও এলাকাবাসী অতিদ্রুত মাজার মসজিদের উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।







 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ