ঢাকা , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে মাদ্রাসাছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষক


আপডেট সময় : ২০২৫-০৩-১৪ ০০:৪২:৫০
​পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে মাদ্রাসাছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষক ​পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে মাদ্রাসাছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষক


 
মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে মাদ্রাসার এক শিক্ষক তারই আত্মীয় এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
 
বৃহস্পতিবার (১৩মার্চ) দুপুরে উপজেলার পশ্চিম চাড়াখালী আজিজিয়া মাদ্রাসায় এই নিন্দনীয় ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্র মো. তরিকুল ইসলাম (১৬) মনোহরপুর গ্রামের মো. নাজির হোসেনের ছেলে এবং ওই মাদ্রাসার হেফজো বিভাগের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ একই পরিবারের দূরসম্পর্কের আত্মীয় বলে জানা গেছে।
 
আহতের মা জানান, মাওলানা আব্দুল্লাহর সঙ্গে তাদের জমি ও রাস্তা নির্মাণসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আগের দিন কথাকাটাকাটিও হয়। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার ভেতরেই তরিকুলকে বেধড়ক মারধর করেন শিক্ষক আব্দুল্লাহ। তিনি কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে তরিকুলকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। দুপুরের দিকে যখন কক্ষের দরজা খোলা হয়, তখন সুযোগ বুঝে তরিকুল পালিয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষক আব্দুল্লাহ ছাত্রদের দিয়ে তাকে তাড়া করতে বলেন। কোনো রকমে দৌড়ে বাড়িতে পৌঁছানোর পর সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তাকে আহত অবস্থায় রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
 
আহত শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম জানান, "শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ আমার চাচাতো মামা হন। জমি নিয়ে আমাদের পরিবারে বিরোধ চলছে। গতকাল আমাকে মারতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি পালিয়ে যাই। আজ সকালে আবার মারতে এলে আমি বাগানে পালানোর চেষ্টা করি। কিন্তু মাদ্রাসার অন্য ছাত্রদের দিয়ে আমাকে ধরে এনে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। এরপর শিক্ষক ওমর আমার মাথার চুল ধরে রাখে আর শিক্ষক আব্দুল্লাহ আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়ে পেটান। পরে যাতে পালিয়ে যেতে না পারি, সে জন্য আমাকে তালাবদ্ধ করে রাখেন। দরজা খোলার পর পালানোর চেষ্টা করলে আবার ছাত্রদের দিয়ে ধাওয়া করান।”
 
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি, ফলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
 
এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, "এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
 
এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দ্রুত অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ