ঢাকা , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​উচ্চ আদালত থেকে জাবিনে এসে প্রবাসী ও তার পরিবার দ্বয়কে হত্যার হুমকি


আপডেট সময় : ২০২৫-০২-২৮ ০৪:৪৩:২২
​উচ্চ আদালত থেকে জাবিনে এসে প্রবাসী ও তার পরিবার দ্বয়কে হত্যার হুমকি ​উচ্চ আদালত থেকে জাবিনে এসে প্রবাসী ও তার পরিবার দ্বয়কে হত্যার হুমকি




কে এম সোহেব জুয়েল ঃ উচ্চ আদালত থেকে জাবিনে এসে এবার প্রবাসী ও তার পরিবারের লোকজনদের হত্যার হুমকি দেয়ার  অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে, টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার  বাসাইড গ্রামের পোরা বাড়ি থানার আচমত আলীর পুত্র গ্রীস প্রবাসী জোয়ার্দার মোঃ মালেকের বেলায়। 

মালেক জানায় দীর্ঘ ১৭ বছর গ্রীস প্রবাসে থাকাকালীন অবস্থায় ২০২১ ইং সালে তার ( মালেকের) ফেইচবুক আইডির ম্যাসেঞ্জারে প্রতারনার ছলে প্রবেশ করেন, কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার আখাড়া বাজারের মোঃ হেলাল উদ্দিনের কন্যা প্রতারক সাবিনা ৩২। তিনি প্রায়ই তার ম্যাসেঞ্জার আইডিতে ঢুকে প্রেমের ছলে বিভিন্ন নাটকিয়তায় প্রেমের বেড়াজালে আটকিয়ে ফেলেন প্রবাসী মালেককে এবং চাকুরি নেয়ার কথা বলে ধার বাবদ নগদ ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রবাসী মালেকের কাছ থেকে  প্রতারক সাবিনা।  

ধারের টাকা চাইতে গেলে প্রতারক সাবিনা ও তার বোন সেলি আক্তার- ৩৪ ও বোন জামাই ফারুখ -৪২  মালেককে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায় সাবিনার প্রেমে আসক্ত হয়ে পরেন প্রবাসী মালেক।  উপায়ন্তর না পেয়ে অসহায় গ্রীস প্রবাসী মালেক ৬ জানুয়ারি ২০২৩ ইং বাংলাদেশে ফিরে আসলে প্রতারক চক্র নয়া কৌশল অবলম্বন করে সাবিনাকে মালেকের সাথে  বিয়ের প্রস্তাবে পিছু লেগে বিয়ের নাটকিয়তার মাধ্যমে  ফ্লাট বরাদ্দর কথা বলে  ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ইং নগদ ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রের মুল হোতা সাবিনা তার বোন সেলি আক্তার ও বোন  জামাই ফারুখ হোসেন- ৪২।

 পরবর্তিতে স্হানীয় সুত্র প্রবাসী মালেককে জানায়, ইতি পুর্বে একাধিক বিয়েতে লিপ্ত ছিলেন প্রতারক সাবিনা। এবং প্রতারনার মাধ্যমে অন্যকে বস করে টাকা হাতিয়ে নেয়াই এক মাত্র কাজ সাবিনার এমনটাই জানতে পারেন তিনি। 

 অপরদিকে প্রতারক চক্র সাবিনা গং ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রবাসী মালেককে ঢাকার মতিঝিলের তাদের পরিচিত এক বাসায় নিয়ে বিয়ের প্রস্তাবে আটকিয়ে রাখে মালেক বিয়েতে রাজি না হলে তাকে বেধরক মারধর করে তার পাচপের্ট, টিকেট সহ প্রয়োজনিয় কাগজ পত্র আটকিয়ে রেখে  ৩০ লক্ষ টাকা দাবি  করেন সাবিনা, তার বোন সেলি আক্তার  ও বোন জামাই ফারুখ। 

কোন উপায়ন্তর না পেয়ে জীবন বাচাঁতে  তাদের (সাবিনাকে) নগদ ২০ লক্ষ টাকা  দিয়ে পাচপোর্ট সহ প্রয়োজনিয় কাগজ পত্র ফেরত নেন তিনি (মালেক)। জীবন নিয়ে পালিয়ে এসে প্রবাসী মালেক  প্রতারক চক্রের মুল  হোতা সাবিনা বোন সেলি আক্তার ও  বোন জামাই ফারুখকে আসামী করে বিজ্ঞ চিফ মেট্রো পলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  আদালত ঢাকা ৪০২০ /৪০৬/ ৩৭৯/৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন । 

যার মামলা নং- ৩১৪/ ২৩ ইং তারি ধারাবাহিকতা বিজ্ঞ আদালত সাবিনার উপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে আওয়ামী লীগের দাপট খাটিয়ে দীর্ঘ দিন দাপটের সাথে ঘুরেে বেড়ান প্রতারক সাবিনা। 

 অবশেষে উচ্চ আদালতে জাবিন পেতে মালেক বিদেশ থাকাকালীন অবস্থায় স্বামী দাবি করে জালজালিয়াতির মাধ্যমে মালেকের সই স্বাক্ষর নকল করে কাবিন নামা উত্তোলন করে আদালত থেকে জাবিন নেয় প্রতারক সাবিনা। সে  লক্ষ্যে পুনরায় প্রবাসী মালেক বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঢাকা -৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/ ১০৯ দন্ড বিধি মোতাবেক মামলা দায়ের করেন প্রবাসী মালেক।যার সিআর মামলা নং -৫১২/২৪। উপারন্ত মামলায়  জাবিনে এসে প্রবাসী মালেক সহ তার স্ব- পরিবারকে হত্যার মিশনে ঘুরে বেরান প্রতারক চক্রের মুল হোতা  সাবিনা ও তার সঙ্গীয়রা।

তাই অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে  প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী মালরক ও তার পরিবারের লোকজন।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ