ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ , ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত রাস্ট্র পরিচালনার দ্বায়িত্ব পেলে কেউ মানুষের ওপর জুলুম করতে পারবেনা: জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান


আপডেট সময় : ২০২৪-১২-০২ ১৭:০১:৫২
জামায়াত রাস্ট্র পরিচালনার দ্বায়িত্ব পেলে কেউ মানুষের ওপর জুলুম করতে পারবেনা: জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান জামায়াত রাস্ট্র পরিচালনার দ্বায়িত্ব পেলে কেউ মানুষের ওপর জুলুম করতে পারবেনা: জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান
 

 

 

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে লেখাপড়া করে যুবকরা বেকারত্বের অভিশাপে আত্মহত্যা করবে না। যেখানে শিক্ষা অর্জন করে সঙ্গে সঙ্গে কাজ পাবেন। যেখানে অফিস আদালত কোর্ট-কাচারী কোথাও গিয়ে আপনি লাঞ্চিত হবেননা। কোন মানুষ হয়রানীর শিকার হবে না। কৃষক তার ফসলের ন্যাজ্য মূল্য পাবেন। শ্রমিক তার গামের ন্যায্য মূল্য পাবেন। বিচারক তার আসনে বসে মানুষের ওপর জুলুম করবেনা। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠির শহরের ব্র্যাক মোড় এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলার ইউনিয়ন নেতাদের দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এমন একটা বাংলাদেশ চাই যেখানে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে পাহারা দেওয়া লাগবে না। যার যার ধর্ম সে পালন করবে যেখানে কেউ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। জাতপাত ও ধর্মের ভেদাভেদ থাকবে না। যে দেশের শাসকরা অন্যায় ও জুলুমে দেশটাকে পূর্ণ করে দেয় এবং জনগণ চুপ করে সহ্য করে, সেই সমাজে আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি নেমে আসে। তবে, যদি জনগণ শাসকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এবং আল্লাহর সাহায্য কামনা করে, তখন আল্লাহর সাহায্য তাদের কাছে পৌঁছে আসে। সাড়ে ১৫ বছর ধরে এই দেশে জনগণ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। তারা মর্যাদার সাথে বাঁচার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা অতীতে ধৈর্য ধরেছি, এখনও ধরছি, আগামীতেও ধরব। আমরা যে ত্যাগ স্বীকার করে এসেছি আগামীতেও করে যাব ইনশাআল্লাহ।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা সেই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখতে চাই অফিস আদালতে কোথাও গিয়ে লাঞ্ছিত হতে হবে না। যেখানে জনগণ তাদের অধিকার সম্মানের সঙ্গে পাবেন। আর পেশাগত দায়িত্ব পালনেও অনেকে সুযোগ পায়নি। দেশটি খুন, ক্রসফায়ার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ভরে গেছে। বহু মায়ের বুক খালি করা হয়েছে। বাবার সামনে থেকে তার সন্তানকে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে। বিচারের নামে বিচারক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়েছে। বিশেষ করে, তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের ১১ জন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে ঘটানো জুলুমের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দুইজন সাবেক আমীরসহ ১১ জন নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ ফাঁসির দণ্ড পেয়েছেন, কেউ আবার কারাগারে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। 

 

জামায়াত আমির বলেন, আপনাদের এই অঞ্চলের গর্ব, বাংলাদেশের গর্ব, সারা মুসলিম উম্মাহর গর্ব, যাকে কোরআনের পাখি বলা হত, তাকেও জেলের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ছিলেন সেই ব্যক্তি, যিনি দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে পৃথিবী জুড়ে কল্যাণের বার্তা পৌঁছানোর জন্য কাজ করছিলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যদি রাস্ট্র পরিচালনার দ্বায়িত্ব পায় তাহলে তারা এসব কাজ বাস্তবায়ন করবেন। আমরা কথা দিচ্ছি এ দায়িত্ব যদি আমরা পাই তাহলে এর প্রতিদান দেব। যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন তারা আমাদের জাতীয় বীর। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ ও স্যালুট জানাই।

 

জেলা জামায়ত আমীর এ্যাড. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন। অনন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী। সম্মেলন শেষে জামায়াতের আমীর ঝালকাঠি নেছারাবাদ এনএস কামিল মাদ্রাসার মাঠে এক সুধি সমাবেশে অংশ নেন।


 


নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ