জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নকলায় আদালতে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ এনে তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো. শফিউল্লাহ (৪২) নামে এক ভুক্তভোগী।
১৫ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় নকলা পৌরসভার কায়দা মহল্লায় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শফিউল্লাহ স্থানীয় মৃত হাতেম আলীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে শফিউল্লাহ জানান, আমার স্বত্ত্বদখলীয় জমিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেআইনীভাবে অনুপ্রবেশ করে বেদখলের চেষ্টা এবং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় আমি আমার সহোদর বড় ভাই নেছার উদ্দিন, আবুল কালাম, আবু সালেহ, আকাব্বর মিয়া ও রফিকুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে গত ০৩/০৬/২০২৫ ইং তারিখে শেরপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা মোতাবেক একটি পিটিশন (পিটিশন নম্বর-২৪৪/২০২৫) দাখিল করি।
পরবর্তীতে আদালত পিটিশনটি সহকারি কমিশনার (ভূমি) নকলাকে দখল বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ প্রদান করেন। সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দায়িত্ব দেন গনপদ্দি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হককে। কিন্তু ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক বিবাদীদের সাথে যোগসাজস করে নগদ টাকার বিনিময়ে মিথ্যা ও কাল্পনিক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেন। এই প্রতিবেদনের কোন ভিত্তি নেই।
ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক তার তদন্তে অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছেন। আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হকের মিথ্যা ও কাল্পনিক তদন্ত প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং মিথ্যা ও কাল্পনিক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার জন্য ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক তার তদন্তে অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছেন। আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হকের মিথ্যা ও কাল্পনিক তদন্ত প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং মিথ্যা ও কাল্পনিক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার জন্য ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
পিটিশনের বিবাদী পক্ষের আবুল কালাম জানান, শফিউল্লাহ আমার ছোট ভাই। আমাদের সাথে তার জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। কিন্তু আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে আদালতে জমিসংক্রান্ত যে পিটিশনটি দাখিল করেছে তার কোন ভিত্তি নেই। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও আমাদের হয়রানি করা জন্য এটা করেছে।
গণপদ্দী ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক জানান, কায়দা এলাকার শফিউল্লাহ আদালতে একটি জমিসংক্রান্ত অভিযোগ দাখিল করেন। পরবর্তীতে আদালত এসিল্যান্ড স্যারকে বিষয়টি তদন্তের আদেশ দিলে স্যার তদন্তের দায়িত্বভার আমার উপর দেন। আমি সরেজমিন গিয়ে প্রকাশ্যে তদন্ত করি। তদন্তে যা পেয়েছি তাই আমার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। টাকার বিনিময়ে মিথ্যা ও কাল্পনিক প্রতিবেদন দাখিলের যে অভিযোগ শফিউল্লাহ করেছেন তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আফরিন অ্যানি জানান, আমি নতুন এসেছি। তাই বিষয়টি সম্পর্কে জানিনা। নথিপত্র দেখলে বুঝতে পারব।