মোঃ অপু খান চৌধুরী।
কুমিল্লা-ব্রাহ্মণপাড়া সড়কে বৃষ্টি হলেই দেখাদেয় জলাবদ্ধাতা, জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। এতে খানাখন্দে ভরা সড়কে চরম দুর্ভোগের শিকার হন হাজারো মানুষ।পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা বা ড্রেনেস ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে যায় পানি। এতে কোথাও কোথাও পর্যাপ্ত পানি কোথাও নোংরা কাদায় সৃষ্টি হয় এক চরম ভোগান্তি। গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি আর কষ্ট হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী।
বৃষ্টিতে ব্রাহ্মণপাড়া সিএনজি ষ্টেশন থেকে ভিশন হাসপাতালের মোড় হয়ে টাটেরা শিশু মাতৃ হাসপাতাল, বুড়িচং উওর ও দক্ষিণ বাজার, কলেজ মোড়, ভরাসার বাজার হয়ে সোনার বাংলা কলেজ পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দ এবং জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এছাড়া কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণপাড়া আসা ও যাওয়া একমাত্র সড়কটি দেখলে মনে হয় রাস্তা নয় যেন মরণ ফাঁদ। এই রাস্তাটি ভালো থাকতে ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়া আসার সময় ব্যয় হত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। এখন সময় লাগে দেড় ঘন্টা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া-কুমিল্লা সড়কের প্রাণি সম্পদ অফিস ও শিশু মাতৃ হাসপাতালের সামনের রাস্তাটি জলাবদ্ধতা ছোটবড় গর্ত ও খানাখন্দে ভরা।এ সকল কারণে ট্রাক, বাস, সিএনজি, অটোরিক্সা ও অন্যান্য যানবহন ধীরে চলে। যার প্রভাবে ব্রাহ্মণপাড়া সাহেবাবাদ বাজার হইতে ব্রাহ্মণপাড়া বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সবচোয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ব্রাহ্মণপাড়া- কুমিল্লা চলাচলকারী যাত্রীরা। এছাড়া কুমিল্লায় গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া রোগী ও কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণপাড়ায় এসে অফিস করে এমন যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার বেশি হচ্ছে।
ব্রাহ্মণপাড়া- কুমিল্লার সিএনজি চালক জয়নাল মিয়া বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তার পরিস্থিতি খুবই বাজে। এ সময় সিএনজি চালাতে সমস্যায় পড়তে হয় এবং পানিতে পড়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকি।
সিএনজি চালক মিজান ও কালাম বলেন, রাস্তার খানাখন্দের কারণে সড়কে স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালানো যায়না আবার কখন যে ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি অচল হয়ে পরে সে ভয় সবসময় থাকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বুড়িচং বাজারের রাস্তায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে জলাবদ্ধতা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। সড়কটির সমস্যা সমাধান করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন এলাকাবাসী।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, এই সড়কটি দীর্ঘদিন পর কুমিল্লা থেকে বুড়িচং পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তা কাজ শুরু হয়েছে বাকি ব্রাহ্মণপাড়া অংশটি আমরা প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ শুরু করব আশা করি কিছুদিনের মধ্যে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমে যাবে।