বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমন্বয় সভা

আপলোড সময় : ১৪-০৮-২০২৫ ০৫:২৯:৪৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-০৮-২০২৫ ০৫:২৯:৪৮ অপরাহ্ন
 
এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম 

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই মাসিক সমন্বয় সভায় বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতির সভাপতিত্বে হাসপাতাল এর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, মেডিকেল অফিসার, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও স্যাকমোদের নিয়ে এই মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে সর্পদংশনে আগত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও নার্সদের মধ্যে এক মতবিনিময় এর আয়োজন করা হয়, যাতে উপজেলা পর্যায়ে সাপে কাটা রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

উক্ত সভায় বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আমাদের কাছে সাপে কাঁটা অনেক রোগী নিয়ে আসে। কাঁটার উপরে শক্ত বাধন দিয়ে নিয়ে আসে, যার ফলে আক্রান্ত অঙ্গ চাপ খেয়ে পচন বা ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে।

বিষধর সাপ না হলেও আলাদা করে আমাদের চিকিৎসা করা লাগছে আক্রান্ত অঙ্গের। তিনি বলেন, সাপে কাটার স্থানে কোনো ধরনের শক্ত বাঁধন/গিঁট দেওয়া যাবে না। সাপে কামড়ালে এমনিতে আক্রান্ত স্থানটি ফুলে যায়। এর মধ্যে সেই স্থান আরও শক্ত করে বাধা হলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে তা আরও ফুলে যাবে এবং আক্রান্ত অঙ্গে রক্ত প্রবাহিত হবে না।

এতে করে ওই অঙ্গের টিস্যুতে পচন ধরে পুরো অঙ্গটি পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলাফল হিসেবে পরবর্তীতে অঙ্গচ্ছেদও করা লাগতে পারে। এছাড়া শক্ত করে বাঁধার ফলে ধমনীতেও রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়, যা পেশী এবং স্নায়ুগুলিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

ডাঃ জাফরিন জাহেদ জিতি আরও বলেন, বাধন বা গিট না দিয়ে ব্যান্ডেজের সাহায্যে একটু চাপ দিয়ে প্যাঁচাতে হবে। একে প্রেসার ইমোবিলাইজেশন বলে। ব্যান্ডেজ না পাওয়া গেলে গামছা, ওড়না বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে।


 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]