বানর আতঙ্কে হোসেনপুর

আপলোড সময় : ১৩-০৮-২০২৫ ০৭:২০:২২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৩-০৮-২০২৫ ০৭:২০:২২ অপরাহ্ন


‎মাহফুজ রাজা, স্টাফ রিপোর্টার: ‎কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের পৌর এলাকায় বেশ কয়েকটি বানরের বাঁদরামিতে ছয় মাসের অধিক সময় ধরে মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বিষয়টি পৌর সদরে মুখরোচক হয়ে উঠেছে। বানরের অত্যাচারে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটছে।


বানরগুলির আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে, ক্ষতিগ্রস্ত মুদি দোকান,চা-স্টলসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক এমনকী বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী -বেসরকারি কর্মকর্তারাও বিব্রত।

‎
উপজেলা সংলগ্ন মুদি দোকানী ক্ষতিগ্রস্ত জালাল উদ্দিন জানান, বছর খানেক পূর্বে অজ্ঞাত স্থান থেকে এসে দুটি বানর অবস্থান নেয়। কিন্তু বর্তমানে তারা বেশ কয়েকটি।

প্রথম কিছুদিন নিরব থাকলেও এখন মানুষের ক্ষতি করে, আমার দোকানে ছয় মাস ধরে জ্বালাতন করতেছে, কলা, রুটি, কেক খেয়ে নষ্ট করে ফেলে, আজ সকালে দোকান খুলে দেখি বানর, আমি তাড়াতে গেলে আমার গালে কষে চর মারে এর আগেও বানরের চর খেয়ে তিনদিন হাসপাতালে ছিলাম।
‎


হিংস্র প্রকৃতির বানরগুলি পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ফিরে এলাকাবাসীর বাগানের ফল, জমির ফসল ও রান্না ঘরে ঢুকে ভাত-তরকারিসহ সব ধরনের খাবার খেয়ে ফেলে পাশাপাশি নষ্ট করে। এছাড়াও, বানরগুলি স্কুলগামী শিশু ও নারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পোশাক ছিরে ফেলাসহ তাদের কামড়িয়ে আহত করছে।

‎‎
গত কয়েক দিনে বানরটি ঘরে খেলতে থাকা সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছাবিয়া পারভিন জেনির ৩ বছরের শিশু ফারিন ও তার পাশের বাসার আরেক ছোট্ট শিশু, কাঠ ব্যবসায়ী আবু হানিফসহ অনেককেই 
কামড়িয়ে গুরুতর আহত করেছে। এসব ঘটনায় এলাকায় বানর আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

‎
একই এলাকার শ্রীনাথ বাবু অভিযোগ করে বলেন, গোছানো অফিস, রান্না ঘর, দোকান বানরগুলি তছনছ করে ফেলে, এ রকম অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বানরগুলির বিরুদ্ধে। ‎‎এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ উজ্জ্বল হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান এটা তার দপ্তরের বিষয় নয় বন বিভাগের বিষয়।


‎উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাহিদ ইভা, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বন বিভাগ কে অবহিত করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।




 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]