কাউখালীতে আবহাওয়া পূর্বাভাস অফিসটি অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে আছে।

আপলোড সময় : ০৩-০৮-২০২৫ ০৬:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৩-০৮-২০২৫ ০৬:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন
 
কাউখালী প্রতিনিধি- পিরোজপুরের কাউখালীতে অবস্থিত নির্মানের প্রায় এক দশক অতিবাহিত হলেও একমাত্র নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রটি অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে আছে। কিছু জনবল নিয়োগ দিলেও তারা নিয়মিত অফিসে আসেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের দৃশ্যমান নেই কোন কার্যক্রম।


আর প্রাথমিক যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে, তাও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এখানে আবহাওয়া অফিস থাকলেও সেখান থেকে তারা কোন সেবা পাচ্ছে না।


পিরোজপুরের কাউখালীতে অবস্থিত জেলার একমাত্র নৌ আবাহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রটি দেখে মনে হবে একটি আবাসিক হোটেল। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও অভিযোগ রয়েছে তারা নিয়মিত কেউই অফিসে আসেন না। অফিস কক্ষ বানিয়েছে থাকা খাওয়ার ঘর। মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে পিরোজপুর-গাবখান চ্যানেল হয়ে ঢাকা যেতে যে রুটটি ব্যবহৃত হয় সে পথে কাউখালী একটি উল্লেখযোগ্য স্পট।


কেননা কাউখালীর এ জায়গাটি থেকে দুটি নদী দুটি নৌ রুট সৃষ্টি করেছে। একটি নেছারাবাদ (স্বরুপকাঠীর) সন্ধ্যা নদী হয়ে ঢাকা, অন্যটি গাবখান চ্যানেল দিয়ে বরিশাল হয়ে ঢাকা। ফলে এ নৌরুটের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পট হয়ে দাড়িয়েছে কাউখালী। আর একে কেন্দ্র করেই এখানে তৈরী হয়েছে জেলার একমাত্র নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র। নির্মান কাজে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হলেও অফিসের যন্ত্রপাতির হিসেব এখনো অজানাই রয়ে গেছে। তবে স্থানীয়রা বলেছেন  অফিসের লোকবল এবং কর্মকান্ড সবই অদৃশ্যমান। 


জানা গেছে, ২০১২ সালে মূল ভবন নির্মান কাজ শেষ হয় আর হস্তান্তর হয় ২০১৬ সালে। জনবল নিয়োগ দেয়া হয় ২০১৮ সালে। নির্মানের ৫ বছর পর আনসার নিয়োগ দেয়া হলেও  ৬ বছরের মধ্যে কোন জনবল ওঠেনি সেখানে। অফিসের লোকদের সেখানে দেখা মেলে কালেভদ্রে। অফিস কক্ষের আসবাপত্র বাহিরে রেখে বানান হয়েছে আবাসিক রুম। তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এ নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রটির ভারপ্রাপ্ত অফিসার 


মো: মাজেদুল হক। তিনি জানান, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে আবহাওয়া ডাটা সংগ্রহ, তাপমাত্রা, বাতাসের আদ্রতা, বায়ুর চাপ, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ণয়  করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।

 
বর্তমানে অফিসটিতে পাঁচটি পদের মধ্যে দুটি পদ শূন্য রয়েছে। ফলে অফিসিয়াল কার্যক্রমে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। উল্লেখ্য গণপূর্ত বিভাগ ২০০৮ সালে  ৯০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এর নির্মান কাজ শুরু করে। আর ২০১২ সালে এর নির্মান কাজ শেষ হয়।  

 
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবলের অভাবে রুটিন মাফিক কার্যকলাপে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আশা করি কিছুদিনের ভিতরে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 







 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]