ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিতাস পূর্বাঞ্চলের দশটি ইউনিয়ন নিয়ে নব গঠিত বিজয়নগর উপজেলা সৃষ্টির পরে ২০১০ সালে তিতাস পূর্বাঞ্চলের সিংহ পুরুষ প্রয়াত মোঃ কুতুব উদ্দিন চৌধুরী সেলিম (সেলিম চৌধুরী) চান্দুরাস্থ বাসভবনে প্রয়াত স ম হামিদুল আলম চৌধুরীকে আহবায়ক ও সদস্য সচিব আমির মাহমুদ ভাইয়া কে নির্বাচিত করে যাত্রা শুরু করে।
এরপর থেকে বিভিন্ন বাঁধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলছে সংগঠনটি। বর্তমানে বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি যুগান্তর প্রতিনিধি এস এম কামরুল হাসান শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক দৈনিক সময়ের আলো প্রতিনিধি সেলিম চৌধুরী নেতৃত্বে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট প্রেসক্লাবটি পেশাদারিত্বের সাথে এগিয়ে চলছে।
গত ২৫ জুলাই ২০২৫ তারিখে উপজেলার আউলিয়া বাজার বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিব এর বিজয়নগর টিভির কার্যালয়ে এক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সাধারণ সভায় ২৩ জন সদস্যের মধ্যে ১৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ১৮ জনের মধ্যে ১৩ জনের সম্মতিতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে বাকি ৫ জন তাতে সম্মতি প্রদান করেন। উক্ত সাধারন সভা থেকে সবাই সম্মতি নিয়ে ঐক্যের লক্ষ্যে প্রেসক্লাবের পরবর্তী মিটিং এর বাকি কার্যক্রম করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উক্ত সাধারণ সভায় ২৩ জন সদস্যের মধ্যে ১৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ১৮ জনের মধ্যে ১৩ জনের সম্মতিতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে বাকি ৫ জন তাতে সম্মতি প্রদান করেন। উক্ত সাধারন সভা থেকে সবাই সম্মতি নিয়ে ঐক্যের লক্ষ্যে প্রেসক্লাবের পরবর্তী মিটিং এর বাকি কার্যক্রম করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কিন্তু দুঃখজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা হচ্ছে, ২৫ জুলাই সাধারণ সভার সুন্দর সিদ্ধান্ত ও ঐক্যমত হওয়ার পরেও পরের দিন ২৬ শে জুলাই বিকেলে কারো সাথে কোন পরামর্শ ব্যতীত ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হীরা আহমেদ জাকির ও দপ্তর সম্পাদক শাহনেওয়াজ শাহ নিজেদেরকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দাবি করে একটি অগণতান্ত্রিক পকেট কমিটি প্রকাশ করে। যা ক্লাবের সকল সদস্যদের নজরে আসার সাথে সাথে অনলাইনে জরুরী মিটিং ডেকে সকল সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে তাদের দুজনকে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সংগঠনের সকল সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর ফেসবুক পেইজ ও ক্লাবের whatsapp গ্রুপে তারা এডমিন প্যানলে থাকার কারণে গোপনে বাকি এডমিনদের রিমুভ করে ফেসবুক পেইজ ও whatsapp গ্রুপ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মনগড়া মত প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে যাচ্ছে।
যার কারণে ২৭ জুলাই জরুরী ভিত্তিতে ক্লাবের আরেকটি মিটিং ডাকা হয়। উক্ত মিটিং এ ১৫ জনের উপস্থিতি ও আরো ৩-৪ জন অনলাইনে যুক্ত থেকে ক্লাবের এই বিদ্রোহী কার্যকলাপের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও বিজয়নগর থানা কে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পরিশেষে বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব মনে করে, বিজয়নগর উপজেলাবাসী বিষয়টি সঠিক অনুধাবন করে দুইজন বহিষ্কৃত ব্যক্তির মাধ্যমে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থের মতো ঘৃণিত কাজকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে সঠিক সাংবাদিকতার স্বার্থে বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সঠিক নেতৃত্বের পাশে থাকবেন।
আমরা বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ চাই পেশাদারিত্বের সাথে সঠিক সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিজয়নগর এগিয়ে নিতে আপনাদের সহযোগিতা পাব বলে আশা করছি। এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।