বিমান বিধ্বস্তে নিহত শিক্ষার্থীর বাবার কাদে সন্তানের লাশ

আপলোড সময় : ২৩-০৭-২০২৫ ০৭:০৬:৫৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-০৭-২০২৫ ০৭:০৬:৫৯ অপরাহ্ন

 

মোঃআইয়ুব চৌধুরী, রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার মেধাবী ছাত্র উক্য চিং মারমা গত ২১জুলাই জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ ২৩ জুলাই বুধবার বিকেল ৩টায় তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন শেষ করে তাকে শ্মশানে নিয়ে যায় এবং উক্যছাইং মারমাকে (১৪) বৌদ্ধ ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী তাকে সমাহিত করা হয়।

 

উক্যছাইং মারমার ক্যন্টেনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা শারমিন আক্তার তার বিষয়ে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, তিনি বলেন উক্যছাইং মেধাবী ও বিনয়ী ছিলেন এবং সৃজনশীল চিন্তা ভাবনাও ছিল তার মধ্যে। আমি তাকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পেয়েছি, পরে উচ্চ শিক্ষার লক্ষে ঢাকায় নিয়ে যান তার পরিবার।

 

তার বাবা উসাইমং মারমা বলেন, আমার ছেলে অত্যন্ত বিনয়ী এবং মেধাবী ছিলেন। উক্যছাইং বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তা আর হলো না। গত ২১ জুলাই আমার কাছে একটা কল আসে দুপুরে ওপর দিক থেকে বলে আপনি কোথায় আছেন আমি বললাম আমি রাজস্থলী তখন ওপার থেকে বলেন আপনার ছেলে হাসপাতালে আপনাকে দ্রুত আসতে হবে না হয় কোন আত্মায়ী থাকলে তাদের পাঠান। তখন আমার আত্মীয়দের পাঠালাম এবং আমি রাত ১২ টায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পৌছায় এবং ডাক্তার বলেন আপনার ছেলে শতভাগ বার্ন হয়েছে। তার জন্য দোয়া করেন। এ কথাগুলো বলতে বলতে শুধু কান্না করছেন।তিনি বলেন তার ভালো কথা বলে শেষ করতে পারব না।

 

অন্যদিকে তার (উক্যছাইং) মা কোনভাবে কথা বলতে পারছেন না বার বার অজ্ঞান হয়ে পড়েন ছেলের শোকে।


উক্যছাইং মারমার বাবা- মাসহ আত্মীয় প্রতিবেশি বন্ধু বান্ধব এবং সকলেরই একটি কথা এভাবে আর মৃত্যু চাই না, বিশেষ করে জন বহুল এলাকায় আর কোন ধরনের বিমান প্রশিক্ষণসহ ঝুঁকিপূর্ণ প্রশিক্ষণ যেখানে জনসাধারণের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে এমনটা না করার দাবী জানিয়েছেন সরকারের কাছে।

 

 

 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]