
মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ৯নং কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে অফিস না করে একটি সমিতির ঘরে বসে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে সাধারণ জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাঈনুল সিকদার বর্তমানে আইনগত কারণে জেলহাজতে থাকায় ওই ইউনিয়নের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকরামুজ্জামানকে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কমপ্লেক্সে বসার পরিবর্তে একটি বেসরকারি ভবন কলাগাছিয়া সমবায় সমিতির ঘরে বসে ইউনিয়নের যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন করছেন।
এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দারা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে সব ধরনের নাগরিক সেবা প্রদানের উপযুক্ত অবকাঠামো, কক্ষ ও সুবিধা থাকলেও সেখানে অফিস না করায় জনগণকে সেবা পেতে বিভিন্নভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তোহা চৌধুরী বলেন, “বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও প্রশাসক আকরামুজ্জামান ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে অফিসে বসছেন না। ফলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে, অনেকে ঠিকমতো সেবা পাচ্ছেন না। এমনকি ইউনিয়ন অফিস খুঁজতে গিয়ে সময় ও টাকা দুটোই নষ্ট হচ্ছে।”
এ বিষয়ে গত ১ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, জনগণের করের টাকায় নির্মিত সরকারি স্থাপনা থাকার পরও সেখানে অফিস না করে বিকল্প জায়গায় কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ব্যত্যয় এবং জনসেবা থেকে দূরে থাকার সামিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের প্রশাসক আকরামুজ্জামান বলেন, অভিযোগ হয়েছে সে বিষয়ে আমি জানি। পরিষদের ভবন জরাজীর্ণ থাকায় পূর্বের চেয়ারম্যান যেখানে বসতেন আমিও সেখানে অফিস করেছি।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, গলাচিপা ইউনিয়ন প্রশাসক সংক্রান্ত একটি অভিযোগের ব্যাপারে শুনেছি। ওই ইউনিয়নে বর্তমানের পরিষদ কমপ্লেক্স টি ব্যবহারের অনুপযোগী তাই সুবিধা জনক স্থানে পরিষদের কাজ চলছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে নতুন ভবন তৈরির জন্য বরাদ্ধ পেয়েছি তাই ওই ইউনিয়নের মধ্যে সরকারি জমি নির্ধারণ করে ভবন তৈরির কাজ প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, যাতে প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কমপ্লেক্সে বসেই নাগরিক সেবা প্রদান করেন।