
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা-১৪ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও আয়না ঘরে নির্মম নির্মম নির্যাতনের শিকার মজলুম আইনজীবী ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম আরমান বলেছেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীন হয়েছে। তাই অর্জিত স্বাধীনতা অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি দেশে সফল ইসলামী বিপ্লবের জন্য সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীর কল্যাণপুর শীতলছায়া আবাসিক এলাকায় দারুসসালাম থানার ১০ নং দক্ষিণ ওয়ার্ড আয়োজিত সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বায়তুল জান্নাহ জামে মসজিদের খতিব ও মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদী সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও মুফাসসিরে কুরআন কুরআন মাওলানা হাবিবুর রহমান, দারুসসালাম থানা আমীর হাকিম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, মিরপুর উত্তর থানা আমীর মাওলানা মনিরুল ইসলাম মৃধা। উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহ-সভাপতি গাজী মাহবুব আলম, দারুসসালাম থানা সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবু হানিফ, থানা কর্ম পরিষদ সদস্য মাহমুদ নূর সবুজ ও মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, সাবেক এসপি ও বায়তুল জান্নাহ জামে মসজিদ এবং মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের সভাপতি আলহাজ্জ মুজিবুল হক ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জিয়াউর রহমান প্রমূখ।
ব্যারিস্টার আরমান বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরে আওয়ামী বাকশালীরা দেশে অপশাসন- দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলো। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ ও গুপ্ত হত্যার দেশকে অপরাধ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিলো। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা আওয়ামী অপশাসন-দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছি। মূলত, ছাত্র-জনতার ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে এ ঐতিহাসিক বিপ্লব সাধিত হয়েছে। কিন্তু তা নির্বিঘ্ন হয়নি বরং আমাদেরকে চড়ামূল্যে কিনতে হয়েছে। এ আন্দোলনে দু’হাজারের অধিক মানুষ রাজপথে বুকের তাজা রক্ষ ঢেলে দিয়েছেন। হাজার হাজার আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেককেই হাত-পা চোখ হারিয়েছেন। তাই দেশে যাতে নতুন করে ফ্যাসীবাদের উত্থান না হয় সেদিকে সকলকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি জুলাই বিপ্লবের সুফল পুরোপুরি ঘরে তুলতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
বিমানবন্দর থানা জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী ও দায়িত্বশীল সম্মেলন
বিমানবন্দর থানা জামায়াতের উদ্যোগে আজ সকালে স্থানীয় এক মিলনায়তনে থানা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা এনামুল হক শিপনের সভাপতিত্বে ও থানা প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি আবদুর রাহীম সাব্বিরের সঞ্চালনায় এক ঈদ পুনর্মিলনী ও দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও উত্তরা পুর্ব জোন পরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৮ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, উত্তরা মডেল থানা আমীর এডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, উত্তরখান পশ্চিম থানা আমীর ইসরাইল হোসাইন, দক্ষিণখান পশ্চিম থানা আমীর আবু সাইদ শাহনেওয়াজ, তুরাগ থানার সাবেক আমীর শাহীদুর রহমান মোল্লা ও বিমানবন্দর থানা সেক্রেটারি সুজারুল হক সুজন প্রমূখ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, অনেক আবেগ, অনুভুতি, ভালোবাসা ও স্মৃতি বিজড়িত আমাদের এ প্রিয় কাফেলা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা বলে আজকে গণমানুষের আস্থা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে। আন্দোলনকে এ পর্যন্ত নিয়ে আসতে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ অগণিত মর্দে মুমীনরা শাহাদাতের নজরানা পেশ করেছেন।
মূলত, শহীদদের রেখে যাওয়া এ কাফেলা আমাদের জন্য আমানত। তাই এ শহীদি কাফেলার প্রত্যেক দায়িত্বশীলদের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে শহীদের রক্তস্নাত উর্বর এ ভুখণ্ডে জনগণের প্রত্যাশা অনুয়ায়ী ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ বিনির্মানে নিজদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যহত রাখা। তিনি দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলনে ময়দানে সকলকে আপোষহীন থাকার আহবান জানান।