নিজস্ব প্রতিবেদক : গণধর্ষণ মামলার আসামী জুম্মান (৩৪) রাজধানীর ধোলাইপাড় হতে র্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার।
গত ১৩/০৫/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ১৩.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম (২১) তার বন্ধু ইস্রাফিল ও শাহআলম’সহ আসামী মোজাম্মেল হক শাহিন (২৭) এর বাসায় জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে গল্প করার একপর্যায়ে আসামী মোঃ জুম্মান (৩৪)’সহ অপরাপর আসামীগণ সেখানে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম, ইস্রাফিল ও শাহআলম’গণকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতঃ অশ্লীল ভিডিও ধারণ করার ভয়ভীতি দেখিয়ে ইস্রাফিল ও শাহআলম’দ্বয়কে এলোপাথাড়ি চর থাপ্পর মেরে রুমের ভিতর আটকে রেখে ভিকটিমকে ছাদের উপর নিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর ভিকটিমকে উক্ত রুমে নিয়ে এসে খাটের উপর ভিকটিমসহ ইস্রাফিল ও শাহআলম’দ্বয়কে একসাথে বসিয়ে ইয়াবা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামসহ ভিডিও ধারণ করে তাদের নিকট ৫,০০,০০০/- টাকা দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা না দিলে তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। ভিকটিম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের নিকটে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে গত ১৪/০৫/২০২৫ তারিখ আসামীগণ ইস্রাফিল ও শাহআলম’দ্বয়কে রুমে আটকে রেখে ভিকটিমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমকে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ইস্রাফিল ও শাহআলম’দ্বয়কে এলোপাথাড়ি মারধর করে জখম করে।
এ ঘটনায় ভিকটিম ডিএমপি, ঢাকার কদমতলী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মামলা নং- ২৭, তারিখ ১৬/০৫/২০২৩ খ্রি., ধারা- ৯(৩)/১০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০; তৎসহ ৩৪২/৩৮৫/৩৮৬/৩২৩/৩২৪/৪০৬/৩৪ পেনাল কোড, ১৮৬০ রুজু হয়।
উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গণধর্ষণে জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৬/০৬/২০২৫ তারিখ বিকাল আনুমান ১৬.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ডিএমপি, ঢাকার কদমতলী থানাধীন ধোলাইপাড় ডিপ্টিরগলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ জুম্মান (৩৪), পিতা- আয়ূব আলী, সাং- দক্ষিণ সরদার কান্দি, থানা- মতলব, জেলা- চাঁদপুর’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।