কোরবান আলী রিপন, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।
উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোঃ আজাদ হোসেন আক্ষেপ করে বলেছেন, “আওয়ামী লীগের নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে গত ১৭ বছর আমি বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি। মাথার নিচে ইট দিয়ে বহু রাত কাটিয়েছি। উল্লাপাড়া, ঢাকা, বগুড়া, রাজশাহী মহাসড়কে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের তাড়া খেয়ে খালে-বিলে পড়েছি। অথচ এখন দেখছি পাঁচ আগস্টের পর নতুন নতুন নেতার সৃষ্টি হয়েছে।
মোঃ আজাদ হোসেন বলেন, “বিএনপিতে প্রতিযোগিতা থাকলেও প্রতিহিংসা নেই। গত ৪৫ বছর ধরে আমি উল্লাপাড়া -৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) আসনের নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম। বিশেষ করে গত ১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম, নেতা-কর্মীদের কারাবন্দি অবস্থায় দেখাশোনা এবং মামলার জামিনের খোঁজ খবর রেখেছি, তখন কাউকে পাশে পাইনি।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় এখন অনেক নেতাকে এলাকায় আসা-যাওয়া করতে দেখা যাচ্ছে, অতিথি পাখির আগমন ঘটছে। প্রশ্ন হলো,
গত ১৭ বছর তারা কোথায় ছিলেন, ”আজাদ হোসেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নীতি নির্ধারকদের কাছে অনুরোধ করেন যে যারা বিগত আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে হাসিনা সরকারের পতনের অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে তাদের মধ্যে থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হোক।
জনাব আজাদ হোসেন আরো বলেন যে, যদি ত্যাগে নির্যাতিতদের মধ্য থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আর উজ্জীবিত হবে। আমরা উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপি আগেও ঐক্যবদ্ধ ছিলাম আর এখন ঐক্যবদ্ধ আছি ইনশাল্লাহ। জনাব আজাদ হোসেন উল্লাপাড়াও সলঙ্গবাসীর কাছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দোয়া চান।