২০২৪ জুলাই যোদ্ধা কটিয়াদীর সাইফুল গলায় গুলি নিয়ে আজ ও যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছে।
আপডেট সময় :
২০২৫-০৮-০৫ ১৮:০৪:৪৬
২০২৪ জুলাই যোদ্ধা কটিয়াদীর সাইফুল গলায় গুলি নিয়ে আজ ও যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছে।
এম এ কুদ্দুছ, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:- ২০২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাই বিপ্লবে ঢাকার গুলিস্তানে গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন কটিয়াদীরের সাইফুল ইসলাম (৩২)। উন্নত চিকিৎসা ব্যতীত তার গলা থেকে গুলি বের করার সামর্থ্য তার পরিবারের নেই।
সাইফুল ইসলাম বলেন, তার গলায় গুলি আটকে থাকায় এবং যন্ত্রণার কারণে তিনি কোন কাজকর্ম করতে পারছেন না। তার ৭ সদস্য বিশিষ্ট সংসারের তিনিই একমাত্র উপার্জনকারি ব্যক্তি। বর্তমানে তার চিকিৎসা ও সংসারের খরচ চালাতে চরম দুঃখ ও দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে সাইফুল এবং তার পরিবার। সাইফুল জানান, তিনি ঢাকার গুলিস্তানে গাড়ির লোড আনলোডের কাজ করতেন।
সংসার চালিয়ে যে টাকা আয় ছিল তার সম্পূর্ণই চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হয়েছে। ঘটনার দিন ৩রা জুলাই ২০২৪, সকাল দশটায় তিনি গুলিস্তানে ছাত্র জনতার মিছিলে ছিলেন। তখন হঠাৎ করে তৎকালীন সরকারি ফ্যাসিস্ট বাহিনী মিছিলের সামনে এসে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে।
এরই মধ্যে একটি গুলি আমার থুতনি দিয়ে ঢুকে গলায় আটকে যায়। এই অবস্থায় আমি ঘটনাস্থলে প্রায় এক ঘন্টা রাস্তায় পড়ে থাকি। পরে ঘটনাস্থলে ছাত্রজনতা এসে আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।হাসপাতালে আমার যখন শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল, তখন ডাক্তাররা আমার গলা ছিদ্র করে শ্বাস-প্রশ্বাস ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে। সেখানে ১৭ দিনে ও আমার গলা থেকে ডাক্তাররা গুলি বের করতে পারে নি। ঢাকায় আমাকে চিকিৎসার জন্য জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে এক লক্ষ টাকা, কটিয়াদী উপজেলা থেকে এক লক্ষ টাকা সহ মোট দুই লক্ষ টাকা চিকিৎসার জন্য দেয়। টাকা শেষ হওয়ার পরেই আমি বাড়িতে ফিরে আসি।
বর্তমানে আমি সরকারের নিকট অনুরোধ করছি যে, আমাকে যেন উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে গলা থেকে গুলিটি বের করা হয়। সরকারিভাবে জুলাই-গন অভ্যুত্থানে আমার নাম- সাইফুল ইসলাম, আহত জুলাই যুদ্ধা গেজেট তালিকা ক্রমিকনং ৬৫৯ নাম্বারে রয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রামধুলদিয়া ইউনিয়নের নোয়াবাড়ীয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে সাইফুল (৩২)। সে তার পিতা, ১ভাই,স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়ে ও দাদী সহ ৭ সদস্য বিশিষ্ট সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
তার স্ত্রী হিমা আক্তার জানান, ৭ সদস্য বিশিষ্ট সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি আমার স্বামী। বর্তমানে উপার্জন না থাকায় আমার স্বামীর চিকিৎসা ও সংসার কিভাবে চালাবো তা ভেবে পাচ্ছিনা।
পিতা জসিম উদ্দিন জানান, ৩রা জুলাই ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময়, আওয়ামী ফেসিস্ট বাহিনী হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের গলায় গুলি করেছে, আমি বর্তমান অন্তর্র্বধসঢ়;তী সরকারের নিকট এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স