বনানী (ঢাকা) প্রতিনিধি।
রাজধানীর মহাখালীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী জামাল হোসেন (৪০) মারা গেছেন। সোমবার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
জামাল হোসেন বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতাল স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায়। বাবার নাম মৃত আব্দুল মুন্নাফ।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক। তিনি জানান, মরদেহটি ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে এবং বনানী থানাকে অবগত করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বনানী থানাধীন বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির অফিস ক্লাবের সামনে জামাল হোসেনকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামাল হোসেন ক্লাবের সামনে চা খেতে বের হয়েছিলেন। হঠাৎ মুখোশ পরা দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি দূর থেকে তার দিকে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। একটি গুলি তার ডান চোখের পাশে ও মাথার অংশে বিদ্ধ হয়।
গুলির শব্দ শুনে লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৩দিন আইসিইউতে ভর্তি থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে জানান চিকিৎসকরা।
এদিকে, জামাল হোসেনকে গুলি ছোঁড়া অজ্ঞাত দুই দুর্বৃত্তকে এখনো শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে পারেনি বনানী থানা পুলিশ।
জামাল হোসেনকে ভাই জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সামনে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির নির্বাচন। আমার ভাই আবারও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিল। কিন্তু কিছু লোক নির্বাচন না করতে ফোনে হুমকি দিচ্ছিলেন। আমাদের ধারনা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই আমার ভাইকে গুলি করেছে।