তানোরে বিএপির নেতা মিজানের শূন্যতায় থমকে গেছে রাজনীতির কর্মকান্ড।
আপডেট সময় :
২০২৫-০৭-৩১ ১৮:২২:১৪
তানোরে বিএপির নেতা মিজানের শূন্যতায় থমকে গেছে রাজনীতির কর্মকান্ড।
দেলোয়ার হোসেন সোহেল তানোর থেকে।
গত বছরের ৫ আগস্টে দেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজশাহী তানোরে জমে উঠেছিল বিএনপি'র রাজনীতির অঙ্গন তবে বর্তমানে থমকে গেছে সেই রাজনীতির জলস নেই আর আগের মত মিটিং/মিছিল ও শত শত বিএনপির নেতাকর্মীর উপস্থিতি। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের শূন্যতা। আর এই শূন্যতার কারণ হচ্ছে তিনি বর্তমান বহিষ্কৃত হওয়া।
গত ৫ আগস্টে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শাসনামল থেকে রাজশাহীর তানোর উপজেলাসহ পুরো বাংলাদেশ মুক্তি লাভ করে। বিগত দিনে, এই তানোর উপজেলায়সহ রাজশাহী জেলা জুড়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্যে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন যে কয়জন,তার মধ্যে অন্যতম বারবার কারা নির্যাতিত নেতা মিজানুর রহমান মিজান। তিনি প্রায় ১৭ বছর ধরে বিগত ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগের শত বাঁধা পেরিয়ে তানোর উপজেলা ও জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন।
এসময়ে তাঁর বিরুদ্ধে ২৭টি মিথ্যা ও গায়েবি রাজনৈতিক মামলা করা হয়েছিল। এমনকি ৯ বার দীঘ মেয়াদে জেল খেটেছেন তিনি। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে না পেরে তার নামে থাকা পুকুর দখল ও তাঁর বরেন্দ্র ক্যাবল ডিস লাইন বিভিন্ন জায়গায় দখল করে নিয়েছিলো তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের দলীয় নেতারা। আবার ২০১৫ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শতপ্রতিকূলতা মাড়িয়ে মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পরও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে তখন জেলে পাঠানো হয়েছিলো। মামলা-হামলায় জর্জরিত হলেও তিনি বিএনপির আদর্শ ত্যাগ করিনি কখনো। রাতের পর রাত বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি গ্রেপ্তার আতঙ্কে।
তবুও হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রতিটি নির্দেশনা শত প্রতিকূলতা স্বত্তেও সফলভাবে পালন করেছেন এই মিজান। বিগত ৫ আগস্টের আগে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এবং আন্দোলন দমাতে পুনরায় রাতের অন্ধকারে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মিজানকে তবে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি জামিনে মুক্ত হন এবং তানোর উপজেলা ও পৌর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক সকল ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে আগলে রেখেছিলেন তিনি। আর এমন নেতাকে যদি দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাহলে তানোর উপজেলায় কারা করবে বিএনপির রাজনীতি আর এমন নেতা আছে কে।
তানোর উপজেলায় যখন সবকিছুই ঠিকঠাক বিএনপি র নেতা কর্মীরা মিজানকে সামনে রেখে দলীয় মিটিং মিছিল জনসভা/পথসভাসহ বিভিন্ন দলীয় প্রোগ্রাম করছেন, ঠিক তখনই কিছু বিএনপির নেতা (একটি মহল)তার জনপ্রিয়তায় ঈষার্নিত হয়ে এবং রাজনৈতিক"সামাজিক ভাবে হেয় করতে প্রতিনিয়ত অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করতে শুরু করে এমনকি মিথ্যা ও ভুলভাল তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তুলে ধরেন তার অভিযোগ। আর সেই কারণেই তিনি আজ
বহিষ্কৃত।
তবে এই বহিষ্কৃত আদেশ মানতে নারাজ তানোর উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ৮১ ওয়ার্ডের ৯০% নেতাকর্মী'রা।
সরজমিনে তানোর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের বিএনপির পদধারি নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে যা জানা গেছে, মিজানুর রহমান মিজান তাদের অন্তরে ও মনে প্রাণে গাধা তাদের মতে তানোর উপজেলা বিএনপি মানেই মিজান তারা মিজানকে সামনে রেখেই বিএনপির রাজনীতি করবেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে বিএনপির নেতা মিজানের বহিষ্কার আদেশ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলার সবিস্তরের বিএনপির নেতাকর্মী রা।
উল্লেখ্য, বর্তমান রাজশাহী-১ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য শীর্ষে থাকা ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন (অবসরপ্রাপ্ত) তিনি এই মিজানকে সঙ্গে নিয়েই তানোর উপজেলায় বিএনপির রাজনীতি করতে চান এটা প্রমাণিত সর্বমোহলে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স